বরুড়া
পৌর সদরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ
বিদ্যালয় বহু বছর ধরে ৮ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে
ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এ বছর হঠাৎ করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন
কুমার সাহার একক সিদ্ধান্তে কেন্দ্র পরিবর্তন করা হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও
সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, বিগত সরকারের সময়ে
বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও এ বছর পুনরায় চালুর ঘোষণা আসে। কিন্তু কেন্দ্র
নির্ধারণের ক্ষেত্রে পৌরসদরের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির নাম প্রস্তাব না দিয়ে
গোপনে কাদবা তলাগ্রাম ত,চ,লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো
হয়। শিক্ষার্থী ধারণক্ষমতা কম থাকায় পরে ভেন্যু হিসেবে বরুড়া সরকারি কলেজ
যুক্ত করা হয়।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ
বিদ্যালয় পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও আসনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র পরিবর্তনের
সিদ্ধান্ত ‘অস্বচ্ছ ও প্রশ্নবিদ্ধ’। কেন্দ্র বদলের পেছনে ‘কিসের বিনিময়ে এ
সিদ্ধান্ত?’-এ প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
বিতর্ক আরও বাড়ে যখন
জানা যায়, তলাগ্রাম ত,চ,লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ওই শিক্ষা অফিসার বরুড়া
হাজী নোয়াব আলী স্কুল থেকে ৬৫ জোড়া টেবিল-চেয়ার চেয়েছেন। যেখানে নকল
প্রতিরোধে সরকার কেন্দ্র কমানোর নীতি নিয়েছে, সেখানে বিপরীতমুখী সিদ্ধান্ত
প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে-উপজেলা
নির্বাহী অফিসারকে অবহিত না করে এবং কোনো আনুষ্ঠানিক সভা ছাড়াই এককভাবে
প্রস্তাবটি শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে, যা প্রশাসনকে বিব্রতকর অবস্থায়
ফেলেছে।
তথ্য অনুযায়ী বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২,০০০ জন ও তলাগ্রাম ত,চ,লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে
মাত্র ৭৫০ জন।
আরও আলোচনার জন্ম দিয়েছে একটি অনানুষ্ঠানিক তথ্য-উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্ত্রী নাকি তলাগ্রাম ত,চ,লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী ছিলেন। অনেকে মনে করছেন, ‘ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ ও আবেগ’
সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে থাকতে পারে।
কেন্দ্র পরিবর্তনকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় উপজেলা প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে।
বরুড়ার
শিক্ষাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং সঠিক তদন্তের স্বার্থে
সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন
নাগরিকরা।
