মহান
মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধায় আজ ১১
ডিসেম্বর, (বৃহস্পতিবার) লাকসাম হানাদারমুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নার্গিস
সুলতানা।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে লাকসাম উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের যৌথ আয়োজনে পতাকা উত্তোলন, আনন্দ র্যালি,
আলোচনা সভা এবং বিশেষ দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১০টায় লাকসাম
মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি লাকসাম পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে
এসে শেষ হয়। র্যালিতে মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন
শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
আনন্দ র্যালি পূর্বে লাকসাম উপজেলা
নির্বাহী অফিসার নার্গিস সুলতানা জাতীয় পতাকা উত্তোলণ এবং
মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. আবুল বাশার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা
উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বেলা ১১টায় উপজেলা
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ডের আহবায়ক বীর
মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মুনাজাত
অনুষ্ঠিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার সফিকুর রহমানের সঞ্চালণায় আলোচনা
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা
নির্বাহী অফিসার নার্গিস সুলতানা, বিশেষ অতিথি মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার
মো. আবুল বাশার, লাকসাম থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদ আহাম্মদ,
লাকসাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবদুল বারী মজুমদার, সাবেক
ডেপুটি কমান্ডার মো. আমীন উল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মনোহরগঞ্জ উপজেলা
কমান্ড'র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, লালমাই উপজেলা কমান্ড'র
আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.
কর্ণ চন্দ্র মল্লিক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আহাম্মদ উল্লাহ
সবুজ, সমাজসেবা কর্মকর্তা উপন্যাস চন্দ্র দাস প্রমুখ। এ সময় লাকসাম,
মনোহরগঞ্জ ও লালমাই উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে শহীদ, যুদ্ধাহত এবং ৭১'র সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ দোয়া মুনাজাত করা হয়।
