বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আরও পাঁচ সপ্তাহ সময় পেল তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।
মামলাটিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ এ নিয়ে ৯১ বারের মত পেছাল।
মামলার
তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ছিল সোমবার। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান প্রতিবেদন দাখিল করতে
পারেননি। তাই আদালতের কাছে সময় আবেদন করে তদন্ত সংস্থা।
সেই আবেদন শুনে
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জশিতা ইসলাম প্রতিবেদন জমা দিতে আগামী
১৩ জানুয়ারি নতুন তারিখ রাখেন বলে প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই রুকনুজ্জামান
জানান।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০
লাখ ডলার চুরি হয়। স্থানান্তরিত এসব টাকা ফিলিপিন্সে পাঠানো হয়েছিল।
দেশের অভ্যন্তরেরই কোনো একটি চক্রের সহায়তায় এই অর্থ পাচার হয়েছে বলে তখন ধারণা করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
পরে
ওই বছরের ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের
অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা;
অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ওই মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি।
মামলাটির তদন্ত করছে সিআইডি। দফায় দফায় সময় নিলেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি সংস্থাটি।
বাংলাদেশ
ব্যাংকের খোয়া যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের স্থানীয় মুদ্রা পেসোর
আকারে চলে যায় তিনটি ক্যাসিনোতে। এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ
থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে ফিলিপিন্স সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে
দিলেও বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার আর পাওয়া যায়নি।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
গত ১৩ এপ্রিল বলেছিলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেকে
জড়িত আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে।
