লক্ষ্মীপুরের
রামগতি উপজেলায় নির্বাচনি জনসভায় আসার পথে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির
নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নেতাদের দাবি, এতে দুজন
গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং ১৬টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলার রামদয়াল বাজার, আজাদনগর ও রামগতি বাজারসহ কয়েকটি স্থানে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
লক্ষ্মীপুরের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী
বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা কাজ করছি। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।”
জেএসডি
নেতারা অভিযোগ করেন, সোমবার বিকালে উপজেলার আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট
উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে নির্বাচনি
জনসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সহসভাপতি তানিয়া রব।
জনসভায়
যোগ দিতে দুপুর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে যানবাহনে করে জেএসডির
নেতাকর্মীরা রওনা হয়। এতে বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের
মধ্যে রয়েছেন- লোকমান হোসেন সম্রাট, মোরশেদ, আরাফাত, আপেল, সম্রাট, কালা,
আলমগীর কসাই, ফয়সাল হোসেন, ইবনে হাসান, বিদন ও তারেক। তাদের নোয়াখালী ও
রামগতির বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক
লোকমান হোসেন বাবলু বলেন, “বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এ বি এম আশরাফ উদ্দিন
নিজানের লোকজন পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। গুলিবিদ্ধ আব্দুল
মান্নানকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমাদের ১৬টি গাড়ি
ভাঙচুর করা হয়।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রামগতি উপজেলা বিএনপির সভাপতি
জামাল উদ্দিন বলেন, “জেলা নেতাদের নির্দেশে আমরা নিরব ভূমিকায় ছিলাম।
কিন্তু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও তানিয়া রবের সহযোগী শরাফ উদ্দিন
আজাদ সোহেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রামদয়াল বাজারে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর
হামলা, ভাঙচুর করেছে।”
বিএনপি জোটের হয়ে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে প্রার্থী হতে চাচ্ছেন জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব। তিনি জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের স্ত্রী।
এখানে
বিএনপির প্রার্থী হতে চান এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান। বিএনপির পক্ষ থেকে
ওই আসনে এখনও প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়নি। এ নিয়ে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের
মধ্যে কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
