মালয়েশিয়ার
পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিখোঁজ যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ফ্লাইট
এমএইচ৩৭০-র খোঁজে ৩০ ডিসেম্বর থেকে অনুসন্ধান আবার শুরু হচ্ছে।
এক
দশকেরও বেশি সময় আগে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে চীনের রাজধানী
বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হওয়া ফ্লাইটটি কোনো চিহ্ন না রেখেই পুরোপুরি গায়েব
হয়ে যায়, যা আধুনিক বিশ্বের বিমান পরিবহনের সবচেয়ে রহস্যময় ঘটনাগুলোর একটি
হয়ে আছে।
২০১৪ সালে কুয়ালালামপুর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই নির্দিষ্ট
পথ থেকে সরে যায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি। বোয়িং কোম্পানির ৭৭৭
মডেলের এ উড়োজাহাজটিতে তখন ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু ছিল। যাত্রীদের
অধিকাংশই, ১৫০ জন ছিলেন চীনের নাগরিক। অন্যদের মধ্যে ৫০ জন মালয়েশিয়ার এবং
ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইন্ডিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেইন ও
কানাডার নাগরিকারাও ছিলেন।
নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এই উড়োজাহাজটির সন্ধানে একাধিক তল্লাশি অভিযান চালানো হলেও সবাই বিফল হয়।
রয়টার্স
জানিয়েছে, সর্বশেষ ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে এই উড়োজাহাজটির সন্ধানে
আরেকটি অভিযান শুরু করা হয়েছিল, কিন্তু কয়েক সপ্তাহ চলার পর এপ্রিলে
প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে সেটি স্থগিত করা হয়।
মালয়েশিয়ার
পরিবহন মন্ত্রণালয় বুধবার জানায়, অনুসন্ধান সংস্থা ওশেন ইনফিনিটি নিশ্চিত
করেছে তারা আবার ৫৫ দিনের জন্য সমুদ্রতলে অভিযান শুরু করবে। অভিযান
বিরতিহীনভাবে পরিচালিত হবে।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “মূল্যায়ন অনুযায়ী
যে এলাকায় আকাশযানটি পাওয়ার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা আছে চিহ্নিত সেই
এলাকাগুলোতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।”
তবে বিবৃতিতে কোন সুনির্দিষ্ট এলাকায় তল্লাশি অভিযানটি চালানো হবে তা জানানো হয়নি।
আকাশযানটিকে
ইচ্ছাকৃতভাবে সেটির গমনপথ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, এমন সম্ভাবনার কথা
মালয়েশিয়ার তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে বাতিল করেননি।
আফ্রিকা ও ভারত
মহাসাগরের দ্বীপগুলোর উপকূলে যেসব ধ্বংসাবশেষ ভেসে এসেছে সেগুলোর কিছু এই
আকাশযানটির বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে আর কিছু এরই অংশ বলে বিশ্বাস করা হয়।
এর
আগেও উড়োজাহাজটির খোঁজে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ওশেন
ইনফিনিটি, কিন্তু মূল ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পেতে ব্যর্থ হয়।
