ঢাকাস্থ
চায়না দূতাবাসের রাজনৈতিক পরিচালক ঝাং জিং বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের
কুটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এ সম্পর্ক ভালোবাসার। ইতোমধ্যে
চায়না রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় করেছেন।
জামায়াতের আমীর বলেছেন, বাংলাদেশে তিনটি সমস্যা রয়েছে-দুর্নীতি,
শিক্ষাব্যবস্থার অচলাবস্থ ও ভারত। দুর্নীতি প্রত্যেক শাসনামলেই ছিল, কিন্তু
জামায়াত দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। জামায়াতের প্রত্যেক
নেতাই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছে। জামায়াতের নেতারা শিক্ষিত, কারণ
আমীর ও নায়েবে আমীরসহ বেশ কয়েকজন ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে। ভারত কখনোই
বাংলাদেশের সুফল চায় না। তারা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাবেক
প্রধানমন্ত্রীকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুইবার তাকে ফেরত
পাঠানোর জন্য চিঠি দেওয়া হলেও ভারত সাড়া দিচ্ছে না। কিন্তু চায়না
বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে
কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনে জামায়াতের ইসলামীর নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য
সাক্ষাত শেষে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ চায়না
দূতাবাসের রাজনৈতিক গবেষণা বিশেষজ্ঞ মিস সুরাইয়া আক্তার।
ঝাং জিং আরও
বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি শক্তিশালী ইসলামী দল। সাধারণ মানুষের সাথে
সম্পর্ক রেখে বর্তমানে তারা শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয়
নায়েবে আমীর ডাঃ তাহেরের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ
জামায়াত কার্যালয়ে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও
সেক্রেটারী বেলাল হোসাইনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা
জামায়াতের সাবেক আমীর ভিপি সাহাব উদ্দিন, পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা
ইব্রাহিম, সাবেক উপজেলা সেক্রেটারী শাহ মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা
জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী, ডাঃ মনজুর আহমেদ শাকি। এ
সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা নায়েবে আমীর মোঃ এয়াছিন
মজুমদার, সেক্রেটারী মোশারফ হোসেন ওপেল, উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য
ইউসুফ মেম্বার, কাজী আবদুল কাদের, জালাল উদ্দিন টিপু, শাহাব উদ্দিন,
মাওলানা হাসান মজুমদার, মাওলানা আবদুল হাকিম, আবুল হাশেম, ডাঃ মফিজুর
রহমান, মহসিন কবির, বাতিসা ইউনিয়ন সেক্রেটারী মোতাহের হোসেন মোল্লা,
মুন্সিরহাট ইউনিয়ন সেক্রেটারী শাখাওয়াত হোসেন শামীম, উপজেলা মহিলা
জামায়াতের সেক্রেটারী রেহেনা আক্তার রানুসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ও
সেক্রেটারীবৃন্দ।
পরে চায়না দূতাবাসের কর্মকর্তারা গণঅভ্যুত্থানে শহীদ
মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামের জামসেদুর রহমান মিয়াজী, শ্রমজীবি শাকিল
হোসেন, পৌর এলাকার চান্দিশকরা গ্রামের পুলিশের গুলিতে শহীদ সাহাব উদ্দিন
পাটোয়ারী, নির্যাতনের শিকার সুরুজ জামাল, আ’লীগের নির্যাতনে দুই চোখ হারানো
গুণবতী ইউনিয়নের চাপাচৌ গ্রামের জহিরুল ইসলামের পরিবারের খোঁজখবর নেন।
চায়না দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদেরকে প্যাকেটভর্তি উপহার সামগ্রী প্রদান
করেন। এ সময় সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
