
রণবীর ঘোষ কিংকর।
কুমিল্লার চান্দিনায় ছিনতাইকারী সন্দেহে বাড়ি থেকে ধরে এনে মো. মুছা (২৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৩জনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) মধ্য রাতে চান্দিনা উপজেলার বরকরই ইউনিয়নের চাঁদসার গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মুছা ওই ইউনিয়নের কাদুটি গ্রামের আলাউদ্দিন এর ছেলে। আটককৃতরা হলো- চাঁদসার গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ এর ছেলে কালা মিয়া, একই গ্রামের হাজী আব্দুল মতিন মাস্টারের ছেলে জহিরুল ইসলাম ও নিহতের সম্পর্কে চাচা শাহআলম এর ছেলে খোকন মিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- চাঁদসার গ্রামের ময়নাল হোসেন কাদুটি বাজারে মোবাইল ফোনের ব্যবসা পরিচালনা করেন। গত ১৫ নভেম্বর রাত পৌঁনে ১১টায় ময়নাল হোসেন ও তার ভাই আবুল কালাম দোকান থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। ছিনতাইকারীরা বৈদ্যুতিক সক দিয়ে ময়নাল হোসেনকে মারাত্মক আহত করে নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ওই ঘটনায় ময়নাল হোসেন ছিনতাইকারী দলের সদস্য মুছাকে চিনতে পারে। মুছাও ৮-১০দিন বাড়িতে না থাকায় সন্দেহ আরও ঘনিভূত হয়। রবিবার রাতে মুছা বাড়িতে আসলে তার বাড়ির লোকজন ময়নালকে খবর দেয়। রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় ময়নাল, কালা মিয়া, তাকবির সহ অন্তত ১৫জন এসে মুছাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে তার।
এদিকে, ঘটনাস্থলে মুছার মৃত্যুর পর মরদেহ ফেলে আত্মগোপনে চলে যায় হামলাকারীরা।
ব্যবসায়ী ময়নাল হোসেন এর চাচাতো ভাই ইউপি সদস্য সামির হোসেন জানান- গত ৯-১০দিন আগে ময়নালকে রাতের অন্ধকারে আটক করে সংঘবদ্ধ একটি ছিনতাইকারী চক্র। এসময় ময়নালকে বৈদ্যুতিক সক দিয়ে তার নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। মুছাকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- এ সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। শুনেছি মুছার বাড়ির লোকজনই ময়নালদের ফোন করে খবর দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে প্রাথমিক ভাবে ৩জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
