কুমিল্লা
লাকসামে রেললাইন থেকে মইন উদ্দিন অন্তর নামে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করা
হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে লাকসাম পৌর শহরের গন্ডামারা জবাইখানা এলাকার
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন থেকে ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তরুণের
মুখে ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধারণা করা
হচ্ছে- হত্যার পর তার লাশ রেললাইনে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
লাশ উদ্ধারের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি জসিম উদ্দিন খন্দকার। তিনি
বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা ওই তরুণকে দুর্বৃত্তরা হত্যার পর রেললাইনের পাশে ফেলে গেছে।
নিহত
অন্তরের মা মরিয়ম বেগম জানান, তাঁর স্বামী ছোট্ট অন্তরসহ দুই সন্তান রেখে
তাকে ছেড়ে চলে যান। ওই সময় তিনি বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ঝি'র কাজ করে দুই
সন্তানকে লালন-পালন করেন। একপর্যায়ে তিনিও অন্যত্র বিয়ে করেন। দ্বিতীয়
সংসারে তাঁর ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর পর ওই স্বামীও মারা যান।
এদিকে
অন্তর বড় হতে থাকে। সে বাইরে বাইরে থাকে।মায়ের কাছে থাকে না। অনেকটা
বাউন্ডেল। জীবিকার সন্ধানে অন্যান্য তরুণদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থান থেকে
স্ক্রাব সংগ্রহ ও বিক্রি করে।
রেললাইনের পাশে এক তরুণের মরদেহ পড়ে আছে
শোনে তিনি (অন্তরের মা) ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং তাঁর ছেলের মরদেহ শনাক্ত
করেন। এ সময় তাঁর আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তিনি তাঁর
ছেলের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
করেন।
এই ব্যাপারে লাকসাম রেলওয়ে থানার (জিআরপি) অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
জসিম উদ্দিন জানান, উদ্ধারকৃত মরদেহের মুখোমন্ডল, মাথাসহ শরীরে একাধিক
স্থানে রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি জানান, লাকসাম রেলওয়ে থানা
সাধারণ ডায়েরী মূলে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ
(কুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
রয়েছে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, স্থানীয়দের
মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তরুণের মুখে ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা
হচ্ছে ওই তরুণকে হত্যার পর হত্যাকারীরা লাশ রেললাইনের ওপর ফেলে গেছে।
