লাকসাম
প্রতিনিধি: সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা, ১:৪ অনুপাত ও ১০টি গ্রেডের
পে-স্কেল আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ ও ১ জুলাই ২০২৫ থেকে
কার্যকর এবং নবম পে-স্কেলের দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগের উদ্যোগে
লাকসাম রেলওয়ে জংশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮
নভেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিআরইএল কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি
সেলিম পাটোয়ারী অন্তর্বর্তিকালীন সরকার প্রধানের নিকট রেলওয়ের বিদ্যমান
২০টি গ্রেড ভেঙে দিয়ে ১০টি গ্রেড করার দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন,
বর্তমান সরকার একটি দলের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে আমাদের ন্যায্য দাবিগুলোকে
উপেক্ষা করছেন। যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।
লাকসাম রেলওয়ে জংশনের
স্টেশন মাস্টার ও বিআরইএল লাকসাম শাখার সভাপতি ওমর ফারুক ভুঁইয়ার
সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন
কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন, লাকসাম শাখার কার্যকরী সভাপতি আক্তার হোসেন,
এসএসএই সিগন্যাল ইনচার্জ সাদ্দাম হোসেন, বিআরইএল চাঁদপুর শাখার সেক্রেটারি
মোসলেহ উদ্দিন, নোয়াখালী শাখার সেক্রেটারি মোঃ খালেদ, লাকসাম শাখার যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান চৌধুরী সুমন প্রমুখ।
বক্তারা চিকিৎসা ভাতা ১০
হাজার টাকা, শিক্ষা ভাতা ৭ হাজার টাকা, রেশন ভাতা ৬ হাজার টাকা, টিফিন ভাতা
৩ হাজার টাকা, ধোলাইভাতা ১ হাজার টাকা, ১টি সিলেকশন গ্রেড ও ৩টি
টাইমস্কেল, ১০০% আনুতোষিক, গ্রাচুইটি ১ টাকায় ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা,
রেলওয়ের নিয়োগ বিধি-২০২০ দ্রুত সংশোধন করে পদোন্নতি বঞ্চিত সকল পদের
পদোন্নতি ও সকল শূন্য পদে অতিসত্তর নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান।
এছাড়াও
স্থায়ী পদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃতদের স্থায়ীকরণ, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত
কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা, প্রাপ্ত ছুটি এবং অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভার টাইম
প্রদান, রেলওয়ের উন্নয়নে ৬৪ জেলার সঙ্গে রেল সংযোগ, প্রয়োজনীয় কোচ ও ইঞ্জিন
সংগ্রহ এবং দুর্নীতি মুক্ত টেকসই উন্নয়ন, লাকসাম-ঢাকা কর্ড লাইন ও বগুড়া
জামতৈল রেললাইন দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবি জানান বক্তারা।
