ইমিগ্রেশন
ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃক জার্মানি থেকে ই-পাসপোর্ট বুকলেট ও প্রশিক্ষণ
সরাসরি (জিটুজি) ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে
১৬৯২ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ
সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে,
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃক
বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ
ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ শীর্ষক প্রকল্পের ই-পাসপোর্ট বুকলেট এবং প্রশিক্ষণ
সরাসরি (জিটুজি) ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সর্বনিম্ন
দরদাতা প্রতিষ্ঠান জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ এর কাছ থেকে ই-পাসপোর্ট
বুকলেট এবং প্রশিক্ষণ সরাসরি (জিটুজি) ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া
হয়। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
বৈঠক শেষে
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রায় এক কোটি পাসপোর্টের আবার নতুন করে ...
করবো। কারণ ই-পাসপোর্টের চাহিদা আছে তো সেটা তাড়াতাড়ি করে আমরা করবো।
সেখানে পাসপোর্টের অফিসের সঙ্গে কথা বলে ডকুমেন্টও দেওয়া হয়েছে ৬৫ লাখ।
বৈঠকে
‘সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (১ম পর্যায়) (১ম
সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের ক্রয়চুক্তির ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া
হয়েছে। মূল চুক্তিমূল্য ছিল ২ হাজার ১১৬ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার ৮৬ টাকা।
ভেরিয়েশন বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৬১৭ কোটি ৮ লাখ ৪ হাজার ৪৩৫ টাকা। সংশোধিত
চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ৫৯ লাখ ১৪ হাজনর ৫২২ টাকা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চীনের বোইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোং
লিমিটেড (বিইউসিজি)।
বৈঠকে বাংলাদেশ সরকার (জিওবি) ও বিশ্বব্যাংকের
(আইডিএ) যৌথ অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন
‘সিলেট-চারখাই-শেওলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-ঝচ-১ এর আওতায়
’সিলেট-চরখাই-শেওলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রমের
জন্য পরামর্শ পরিষেবা’ শীর্ষক পরামর্শক সেবার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
দিয়েছে সরকার। এই পরামর্শক নিয়োগে ব্যয় হবে ৮৫ কোটি ৫৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭১
টাকা।
সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে
ডংসাং ইঞ্জিনিয়ারিং কোং লিমিটেড (কোরিয়া) (যুগ্ম সদস্য) এবং
ডেভকনসালট্যান্টস লিমিটেড (বাংলাদেশ) (যুগ্ম সদস্য) এর সাথে যৌথ উদ্যোগে
কেক্লেং কোং লিমিটেড (লিড পার্টনার) এবং ডেভেলপমেন্ট টেকনিক্যাল
কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেড (বাংলাদেশ) (সাব-কনসালট্যান্ট) এবং
অনূশান্ধানি ক্রিডস লিমিটেড (বাংলাদেশ) (সাব-কনসালট্যান্ট) এবং ওজো টেক
সলিউশনস লিমিটেড (বাংলাদেশ) (সাব-কনসালট্যান্ট) এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে।
