ঢাকার
মিরপুরে দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়াকে গুলি
করে হত্যার ঘটনায় এক আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঘটনার পরপরই জনি ভুঁইয়া নামে ২৫ বছর বয়সী এই আসামিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। মামলায় তার বিরুদ্ধে সরাসরি গুলির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ হানিফ আসামিকে আদালতে হাজির করেন।
আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা নথিবদ্ধ করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান জনির জবানবন্দি নথিবদ্ধ করেন।
এরপর আসামিকে কারাগারে পাঠানোর তথ্য দিয়েছে প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই সাইফুল ইসলাম।
সোমবার
সন্ধ্যা ৭টার দিকে পল্লবীর পুরনো থানার কাছে সি ব্লকে একটি হার্ডওয়্যারের
দোকানে মুখোশ ও হেলমেট পরা তিন ব্যক্তি ঢুকে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে
খুব কাছ থেকে গুলি করে চলে যায়।
রাত ৮টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যার
পর পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশাচালককেও গুলি করে
অস্ত্রধারীরা। আরিফ হোসেন নামের ওই অটোচালক এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কিবরিয়াকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা।
মঙ্গলবার পল্লবী থানায় মামলাটি দায়ের করার কথা বলেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৭-৮ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে, বলেন তিনি।
এজাহারে
যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যরা হলেন সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির
হোসেন (৩০), সোহাগ ওরফে কাল্লু (২৭), মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (২৮) ও রোকন
(৩০)।
এর আগে তালেবুর রহমান বলেনছেন, “ঘটনায় অন্যান্য যারা জড়িত তাদের এবং অস্ত্রধারী যারা তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ আরম্ভ করেছি।
“আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষমত হবো।”
মামলার
এজাহারে বলা হয়েছে, সোহেল ও মাসুম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তারা পূর্ব
পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিলে আসামিদের মধ্যে জনি, সোহাগ ও রোকন ওই দোকানে
অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করেন।
কিবরিয়ার গালের
চোয়ালে, গলার ডান পাশে, বাম কানের পেছনে, ঘাড়ের পেছনে, বুকের ডান পাশে,
বুকের বাম পাশে, ডান হাতের বাহু, বাম হাতের কুনই, বাম হাতের কব্জিসহ শরীরের
বিভিন্ন স্থানে ‘এলোপাথাড়ি’ গুলি চালানোর কথা বলা হয়েছে মামলায়।
গুলির পর কিবরিয়া দোকানের ফ্লোরে পড়ে গেলে পিস্তলসহ আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
