নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে আবু বকর নামের সৌদি
প্রবাসী হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী রাব্বি ও পারভেজকে গ্রেফতার করেছে
পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুইটি চুরি উদ্ধার করা
হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট তৈয়ব হোসেনের আমলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক
জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে গ্রেফতারকৃত ফজলে রাব্বি ও পারভেজ।
বাকবিতন্ডতা ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে বুকে চুরিকাঘাত করে প্রবাসী আবু বকরকে
হত্যা করে বলে স্বীকার করে দুই আসামী। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে
জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার আব্দুল্লাহপুর
গ্রামের দেলোয়ারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুইটির সাথে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার
ঘোলপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কেন্ডা গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে প্রবাসী আবু
বকরের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর গত শনিবার আব্দুল্লাহপুর শ্বশুর বাড়িতে
বেড়াতে আসেন আবু বকর। সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী অলিরবাজার থেকে শ্বশুর বাড়ি
ফেরার সময় আব্দুল্লাহপুর গ্রামের রাব্বি ও পারভেজের সাথে গায়ে ধাক্কা
লাগাকে কেন্দ্র করে নিহতের শ্যালক শান্তর বাকবিতন্ডা হয়। এসময় রাব্বি ও
পারভেজ শান্তকে মারধর করলে প্রতিবাদ জানায় সদ্য বিবাহিত নিহত প্রবাসী আবু
বকর। শ্যালককে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে রাব্বি ও পারভেজ প্রবাসী আবু বকরের বুকে
চুরিকাঘাত করে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রবাসী আবু বকরকে প্রথমে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা
পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার সকালে তার
মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সুইটি বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত
প্রবাসী আবু বকর সদর দক্ষিণ উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের দেলোয়ারের
মেয়ের জামাই এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কেন্ডা
গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।
এবিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম জানান, মুলত গায়ে ধাক্কা লাগাকে
কেন্দ্র করে এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। কোতয়ালী চানপুর এলাকা থেকে
হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি শেষে
তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
