মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর ২০২৫
৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
হারানো অতীত: নামের বৈচিত্র্য
শান্তিরঞ্জন ভৌমিক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:০৩ এএম আপডেট: ১৮.১১.২০২৫ ১:২২ এএম |

 হারানো অতীত: নামের বৈচিত্র্য

আমাদের পাড়ায় ৪২ পরিবারের বাস। পরিবারগুলো একত্রে জমাটবদ্ধ নয়। প্রতিটি বাড়িতে কয়েকটি পরিবার, বিচ্ছিন্ন অর্থাৎ একটু দূরে দূরে অবস্থান।
প্রতিটি বাড়ির নিজস্ব পুকুর আছে, বাগবাগিচা আছে, চলাচলের রাস্তা আছে। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যাতায়াতের ব্যবস্থা আছে। পাড়ার সকলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের। তিনঘর কায়স্থ, দু'ভাগে ছয় ঘর নাপিত, আর অন্যান্য সকল মাহিষ্য সম্প্রদায়ের। পৃথক পৃথক পরিবার, পৃথক পৃথক বাড়ি, কিন্তু একক পাড়ায় সহাবস্থান এবং সুসম্পর্কের বন্ধনে অটুট। এই অর্থে বৃহৎ পরিবার বা বাড়ি বিবেচনা করা যায়।
এক নাপিত বাড়িতে একটি পারিবারিক দেবতার ঘর আছে, অন্য কোনো বাড়িতে আর কোনো ধর্মীয় অধিষ্ঠান নেই। তাই কোনো ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠান করতে হলে সেই দেবতার ঘরকেই কেন্দ্র বিবেচনা করে সকলে সমবেত হয়। এ মিলন সার্বজনীন। আমার আলোচনার প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। এমন করে কোনোদিন ভাবিনি। এখন যখন ভাবতে বসেছি, আমার কাছে একধরনের নস্টালজিয়ায় আপ্লুত হয়েছি।
৪২ ঘরের পাড়ায় আমরা বাস করলেও দেখা গেছে অনেকেরই অভিন্ন তাদের নাম। যেমন পাড়ায় চারজনের নাম 'যতীন্দ্র'। তাঁদের মধ্যে যতীন্দ্রনাথ ধর ছিলেন স্কুল শিক্ষক। কেউ তাঁকে যতীন্দ্র মাস্টার, কেউ যৌত্যা মাস্টার, বড়রা যৌট্টাধর বলে ডাকতেন। যৌট্টা ডাকার কারণ হলো তাঁর এক পায়ের ২/৩টি আঙ্গুল জটপাকানো। তিনি আমাদের শিক্ষক ছিলেন, স্কুলে তাঁর শাসনের মাত্রাটা প্রতিবেশী হিসেবে অধিক হতো বলে আমরা ডাকতাম-'তিনধর'। একজন যতীন্দ্র ঢাকা থাকত। প্রসন্ন ম্যাচ ফেক্টরির গাড়ি চালাত, এজন্য তাকে বলা হতো 'ডাইভার যতীন্দ্র'। একজন যতীন্দ্র প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর একজন বিধবাকে বিয়ে করায় তাকে বলা হতো 'হাংডাযৌত্যা।' আরেক জন নারায়ণগঞ্জ কাপড়ের মিলে চাকরি করতো। ছোটবেলা থেকেই তাকে 'আউব্বা' নামে ডাকা হতো। এজন্য অনেকেই তার আসল নাম জানত না।
ছিল তিনজন 'সুকুমার'। এক সুকুমার কথা বলতে তুতলাতো। সেজন্য তাকে 'তুতল্যা সুকুমার' বলা হতো। অন্যজন হোমিওপ্যাথ ডাক্তারি করতো, তাকে বলা হতো 'ডাক্তার সুকুমার'। আমাদের বয়সী সুকুমারকে বলা হতো 'অবলার পুত সুকুমার'। কারণ অবলা নবীনমাস্টারের একমাত্র মেয়ে। তাকে বিয়ে দিয়ে ঘরজামাই করে তার স্বামীকে বাড়িতে রেখে দেয় নবীনমাস্টার।
ছিল তিনজন 'অবনী'। আমার বাড়ির জেঠামশায় অবনীমোহন ভৌমিক ছিলেন স্কুল শিক্ষক। তাঁকে ডাকা হতো 'অবনীমাস্টার'। আর অবলার স্বামী অবনী ঘরজামাই ছিল বলে তাকে সম্বোধন করা হতো 'জামাই অবনী'। এছাড়া একজন অবনীর চুল ছিল লম্বা। তাই তাকে ডাকা হতো 'চুল্যা অবনী'। পশ্চিমপাড়ায় একজন অবনীকে বলা হতো 'অবনী সাধু'। তিনি গান-বাজনা করতেন।
ছিল দু'জন 'সন্তোষ'। একজনকে বলা হতো 'সন্তুস্যা'। বেজায় ভালো মানুষ। বসন্তশীলের বড় ছেলে সন্তোষের ডাক নাম 'কেরাইল্যা'। এনামেই সমধিক পরিচিত ছিল, কাগজপত্রে সন্তোষ শীল।
ছিল দু'জন 'মনমোহন'। তারা সম্পর্কে কাকা-ভাতিজা। কাকা মনমোহনের ছেলে যতীন্দ্র ড্রাইভার ঢাকা থেকে একটি বিদেশি কুকুর এনেছিল। পাড়ায় এক মহাকাণ্ড। বিদেশি কুকুরকে দেখতে ভীড় জমে গিয়েছিল। এই কুকুরের কারণে মনমোহন হয়ে যায় পরবর্তীতে 'কুত্তা মনা'। ভাতিজা মনমোহন সব সময়ই 'মনা' নামে পরিচিত।
ছিল তিনজন মহেন্দ্র বা মাহিন্দ্র। আমার বাড়ির কাকা মহেন্দ্রকে সম্বোধন করা হতো 'মাহিন্দ্র'। একজনের ঘাড় মোটা ছিল, এজন্য বলা হতো 'ঘাড়মোটা মাহিন্দ্র'। আরেকজন বুট-বাদাম বিক্রি করত, তাই তাকে সম্বোধন করা হতো 'বুট মাহিন্দ্র'।
ছিল দু'জন 'সুরেন্দ্র'। একজন শীতকালে খেজুর গাছ কাটত, তাই তাঁকে বলা হতো 'গাউছ্যাসুরেন্দ্র।' অত্যন্ত সুদর্শন চেহারা ছিল তাঁর। তিনি রামায়ণ-মহাভারত সুর করে সন্ধ্যাবেলা পড়তেন। কেউ কেউ তা শুনতে তার বাড়িতে যেত। তিনি কাহিনিগুলো অতি সহজ করে বলতে পারতেন। আমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স পড়ার সময় তাঁর সান্নিধ্য পেয়েছিলাম। অন্যজন সুরেন্দ্র আমাদের আত্মীয় হলেও স্বভাব-চরিত্র ভালো ছিল না। সেজন্য কেউ কেউ তাকে 'লুচ্চা সুরেন্দ্র' বলত। লেখাপড়া ততটা নয়, কিন্তু ২/৩টি ইংরেজি শব্দ জানা ছিল, তা যেকোনো বাক্যে ব্যবহার করত, অবশ্যই আমরা কৌতুকবোধ করতাম। বিশেষত প্রায়দিন রেডিও শুনতে আমার বাবার কাছে আসতেন, আবহাওয়ার সতর্কবাণীকে তিনি বলতেন-'সবিতর্ক'। 'রাসকেল' ইংরেজি শব্দটি কোথায় শুনেছেন, তার অর্থ জানেন না। অথচ ব্যবহার করতেন যেখানে-সেখানে। এক জঘন্য প্রয়োগ-বৃত্তান্ত।
ছিল তিনজন 'সচীন্দ্র'। একজন আমার জৌঠামশায়। লেখাপড়া ততটা করেননি। বাড়ির মুরুব্বিরা ডাকত- 'সৌচ্চা'। আরেকজন ছিলেন ঘরজামাই, বেটে, তাকে বলত 'আশুর জামাই সোচা'। অন্যজন সচীন্দ্র স্বনামেই ধন্য ছিলেন।
ছিল দু'জন 'সুরেশ'। একজন সামান্য পড়াশোনা করেছেন, নারায়ণগঞ্জে কাপড়ে মিলে চাকরি করতেন। সেজন্য তাকে 'সুরেশবাবু' বলে সম্বোধন করা হতো। অন্যজন দিনমুজুর, তাই সুরেশ হয়ে যায় 'সুরেইশ্যা'। বিধবা মাকে নিয়ে থাকত। ভালো লোক ছিল।

ছিল তিনজন 'প্রমোদ'। একজন আমার বাড়ির কাকা, তিনি মেট্রিক পাশ, সাধনা ঔষধালয়ে চাকরি করতেন। অপরজন প্রমোদ দিনমজুর, তাই 'প্রমুদ্যা' এবং ধরবাড়ির প্রমোদ ছিল ছিপছিপে অর্থাৎ শুকনা। তাই তাকে সম্বোধন করা হতো 'মেরত্যা প্রমোদ'।
ছিল দু'জন 'সাধন'। একজন সুরবালার একমাত্র ছেলে। সুরবালা পাড়ার মেয়ে। বিয়ে দেওয়া হয়েছিল দূর গ্রামে। স্বামীর মৃত্যুর পর বাবার বাড়ি চলে আসে সন্তান সাধনকে নিয়ে। সুরবালার কোনো ভাই ছিল না, আশালতা তার বোন। তাই এই সাধনকে সম্বোধন করা হতো 'সুরির পুত সাধন'। সে আমার সমবয়সী ও সহপাঠী ছিল। পরীক্ষার আগে শেষ রাতে গলা ফাটিয়ে পড়ত। এ পড়া ছিল লোক দেখানো। নিয়মিত পাশ করত না। আমার তিন বছর পর মেট্রিক পাশ করেছিল। অন্যজন সাধন বড় হয়েও নেংটা থাকত, বড় হওয়ার পরও তাকে 'নেংটা সাধন' বলেই সম্বোধন করা হতো। প্রথম প্রথম এই পরিচয়ের জন্য বিয়ের সম্বন্ধও ভেঙে গিয়েছিল। বিয়ের পর তার স্ত্রীও 'নেংটা সাধনের বউ' বলে পরিচিতি লাভ করেছিল।
আমাদের পাড়ার অধিকাংশ বউ-ঝি তাদের সন্তানদের নামযুক্ত মাতৃ-পরিচয় লাভ করতেন। সেজন্য তাঁদের প্রকৃত নাম অনেকেই জানতেন না, জানতাম না। তবে অনুসন্ধানে জেনেছি তাঁদের নাম ছিল- হেমাঙ্গিনী, মাতঙ্গিনী, অন্নদাময়ী, ক্ষেমাসুন্দরী, সূক্ষ্মদাসুন্দরী। পরবর্তী বউ-ঝিদের নাম ছিল-অবলা, বিমলা, বিপুলা, চপলা, নিহারবালা, নিভাননী, বিনোদনী ইত্যাদি। আমাদের বয়সীদের নাম ছিল-বাসনা, কামনা, পারুল, কল্পনা, মলিনা, উষা, আরতি ইত্যাদি। এখন তো তমা, উমা, সোমা, শোভা, চিনু ইত্যাদি।
ভাবছিলাম-একটি পাড়ায় ৪২ ঘরের বাস। লোকসংখ্যা দু'শয়ের মতো। নারীদের বাদ দিলে শতাধিক পুরুষ। কিন্তু একশতটি নাম কেন রাখা গেল না। বার বার একই নাম ২ থেকে ৪ জনের মধ্যে সীমিত ছিল। সেজন্য তাদেরকে চেনার জন্য কতই না বিচিত্র বিশেষণ বা ব্যতিক্রমী প্রয়াস। তাতে হয়ত কোনো মান-অভিমান ছিল না। কিন্তু পরিচিতির সঙ্গে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যটা যে অতি সংগোপনে উচ্চারিত হয়েছে, তা যেমন আমি এখন ভাবছি, তখন তা কেউ গুরুত্ব দেয়নি। কত সহজ-সরল মনের বিচরণ ছিল সাধারণ মানুষগুলোর মননে। তারাই ছিলেন কাছের মানুষ, আপন জন, অকৃত্রিমও বটে। একটু ভাববার বিষয় হলো-এই সরলতার মধ্যে প্রতিটি মানুষের একটি শুদ্ধ অর্থযুক্ত নাম থাকলেও কাউকে শুদ্ধ নামটি ধরে উচ্চারণ না করে সম্বোধন করা হওয়ার কারণে অনেকের প্রকৃত নামটিই হারিয়ে গেছে। ভোটার লিস্টে অথবা কাগজপত্রে আসল নামটি লিখতে গেলে অতি পরিচিত নামটি না লিখলে যে তাকে চেনাই বড় দায় হয়ে পড়ে। সন্তোষশীলকে কেউ চিনে না, চিনে 'কেরাইল্যাকে', নবদ্বীপ দাসকে কেউ চিনে না, চিনে 'ব্যংগা'কে, যতীন্দ্রকে চিনে না, চিনে 'আউব্বা'কে, মতিলালকে চিনে না, চিনে 'মইত্যা'কে, হরিশীলকে কেউ চিনে না, চিনে 'হইর?্যা'কে, হারাধনকে কেউ চিনে না, জন্মগত পা খোঁড়া বলে তাকে চিনে 'লেংড়া হাউর?্যা'কে। এ রকম যতসব আজগুবি সংস্কৃতিচর্চায় ভরপুর ছিল একসময় গ্রামাঞ্চলে। তারপরও প্রাণ ছিল, মান ছিল, ছিল মেলবন্ধন, আত্মীয়তা অর্থাৎ আত্মার সংযোগ বা মিল।
আমার পাড়ার এই পরিবেশে লোকনাথ দাসের ছেলে জনার্দন দাস ও বৈকুণ্ঠ সাধুর ছেলে হরিপ্রসন্ন দাস এমবিবিএস পাশ করেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে, আমার বাবা ইন্দুভূষণ ভৌমিক বি,এ পাশ, প্রধান শিক্ষক, জেঠামশায় অবণী মোহন ভৌমিক বি,এ ফেল, শিক্ষক, উপেন্দ্রচন্দ্র দাস এম,এ,বি,টি, পাশ শিক্ষক, এ ছাড়া ছয় জন ম্যাট্রিক পাস। লক্ষ্য করেছি-লেখাপড়ায় শিক্ষিত হয়ে, মানসসম্পন্ন চাকরি করেও পাড়ার মেলবন্ধনকে কখনও উপেক্ষা করেননি। পাড়ায় অবস্থান কালে জনার্দন হয়ে যান 'জনা' হরিপ্রসন্ন-'তরণী', উপেন্দ্র বি,টি, ইন্দুভূষণ-ইন্দ্রমাস্টার ইত্যাদি। এটাই অকৃত্রিম পরিচয়।
অনেকেই বলবেন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে উত্তরণ ঘটেছে। সভ্যতার ছোঁয়ায় জীবনমানের সাথে সম্মানিক বিষয়টি উজ্জ্বলতর হয়েছে। পোষাক-আশাকের মতো সংস্কৃতিও নতুন রূপ পরিগ্রহ করেছে। সূক্ষ্মভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে অকৃত্রিমতা যে কৃত্রিমতায় সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। হয়ত রবীন্দ্রনাথের মতো বলছি-
'জাগিয়া উঠেছে প্রাণ,
ওরে উথলি উঠেছে বারি,
ওরে প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি।'
তা অস্বীকার করব না। কারণ, এই স্রোতে আমিও ভাসমান ভেলা। প্রাণ তো জেগেছে, অন্য প্রাণ হননে, বারি তো উথলি উঠেছে শিশু থেকে বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে, আবেগ তো মথিত হয়েছে শাশ্বত পারিবারিক বন্ধনকে ছিন্ন করে, বাসনা তো কামনার গন্ধে মউ মউ। তাহলে আমার পাড়ার মানুষগুলোর পরিচয় কি? তাই বলছি-
চোখের আলোয় দেখেছিলেম
চোখের বাহিরে
অন্তরে আজ দেখব, যখন
আলোক নাহি রে।
ধরায় যখন দাও না ধরা
হৃদয় তখন তোমায় ভরা,
এখন তোমার আপন আলোয়,
তোমায় চাহি রে।













http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনা ও কামালের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের রায়
দণ্ডপ্রাপ্তহাসিনাকে আবার ফেরত চাইল বাংলাদেশ
ক্ষমতার চূড়া থেকে ফাঁসির ফেরারি
চৌদ্দগ্রামে জামায়াত নেতার গাড়ি পুড়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় পুলিশের অভিযানে৪৪ জন আটক
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
গোমতী নদীর চর থেকে অটোচালক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার; গ্রেপ্তার ১
হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ
রায় যাই হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২