
সোমবার
ঢাকায় শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় নারী কাবাডি বিশ্বকাপ। মিরপুরের শহীদ
সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বসবে ১১ দেশের এই বিশ্বকাপ আসর। রোববার
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় নারী বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করা
হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ট্রফি উন্মোচন করেন।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া,
ইন্টারন্যাশনাল কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি বিনোদ কুমার তিওয়ারি, বাংলাদেশ
কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি বাহারুল আলম বিপিএম, সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ
সোহাগ এবং অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অধিনায়ক।
বাংলাদেশ ছাড়াও এবারের
বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত, রানার্সআপ ইরান, চাইনিজ
তাইপে, জার্মানি, কেনিয়া, নেপাল, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, উগান্ডা ও
জাঞ্জিবার। দশ অতিথি দল এরই মধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
প্রথমবারের মতো
বাংলাদেশ যে কোনো পর্যায়ের কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। অন্তর্র্বতী সরকার
ঘোষিত ‘তারুণ্যের উৎসব’ উদযাপনের অংশ হিসেবে নারী কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজন
করা হচ্ছে। প্রথম আসর হয়েছিল ভারতের পাটনায় ২০১২ সালে। সেই আসরে ভারত
ফাইনালে ইরানকে ২৫-১৯ পয়েন্টে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
এবার ঘরের মাঠে
বাংলাদেশ দলের সামনে আছে পদক জয়ের হাতছানি। চলতি বছরের মার্চে ইরানে
অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ঐতিহাসিক ব্রোঞ্জ পদক
জয়ের পর থেকেই দলটি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধান
কোচ আরদুজ্জামান মুন্সি এবং অধিনায়ক রূপালী আক্তার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত
করেছেন যে, তারা প্রথম বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে যেতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশ
কাবাডি ফেডারেশন ঢাকায় স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক আয়োজনের মাধ্যমে নতুন মাইলফলক
স্পর্শ করতে চায়। আসরের আগে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক
এসএম নওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এ আয়োজন সফল করতে
সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আমরা নিশ্চিত যে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দ্বিতীয়
নারী কাবাডি বিশ্বকাপের নির্বিঘ্ন আয়োজন নিশ্চিত করবে। বিশ্বকাপের মতো
মর্যাদাপূর্ণ আয়োজন পৃষ্ঠপোষকদের উদার সহায়তা ছাড়া সম্ভব হত না।’
‘এ’
গ্রুপে বাংলাদেশ লড়বে ভারত, থাইল্যান্ড, উগান্ডা এবং জার্মানির বিপক্ষে।
অন্যদিকে ৬ দেশ নিয়ে সাজানো ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ইরান, নেপাল, চাইনিজ তাইপে,
পোল্যান্ড, কেনিয়া এবং জাঞ্জিবার।
সোমবার যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্বকাপ উদ্বোধন করবেন।
