
প্রথম
সেটে ৩৯ তুলল ভারত, বাংলাদেশ তুলল ৩৫। শুরুর এই কমতি পরে একটু পুষিয়ে
নেওয়া গেল, কিন্তু পুরোপুরি পারলেন না বন্যা আক্তার ও হিমু বাছাড়।
কম্পাউন্ড মিশ্র দ্বৈতে সোনা জয়ের আশাও গুঁড়িয়ে গেল বাংলাদেশের।
আর্মি
স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার কম্পাউন্ড মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে ভারতের
দ্বীপশিখা-অভিষেক ভার্মা জুটি কাছে ১৫৩-১৫১ স্কোরে হেরে রুপা পেয়েছে
বাংলাদেশের হিমু-বন্যা জুটি।
প্রথম সেটে ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়ার পর
দ্বিতীয় সেটে ৩৯-৩৮ ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ। পরের সেটেও একই ব্যবধানে
জিতে ভারতের সাথে বন্যা-হিমু ব্যবধান কমিয়ে আনেন ২ পয়েন্টে। কিন্তু চতুর্থ
সেটে দুই দলই সমান ৩৮ করে পয়েন্ট তুললে হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।
পদক
বিতরণী অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে এক কোণে দাঁড়িয়ে ছিলেন বন্যা ও হিমু। বন্যার
চোখে মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। ভাগ্যকে পাশে না পাওয়ার কথা বললেন এই আর্চার।
“আলহামদুলিল্লাহ।
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপসের কম্পাউন্ড ইভেন্ট থেকে দেশকে এই প্রথম
পদক এনে দিতে পেরেছি, ভালো লাগছে। স্বর্ণপদক হাতছাড়া হয়েছেৃআসলে আমরা
চেষ্টা করেছি, এখানে ভাগ্যেরও ব্যাপার থাকে। ভাগ্যে আজ আমাদের পাশে ছিল না।
শুরুতে আমরা একটু খারাপ করেছি, পরে চেষ্টা করলেও পারিনি।”
শুরুর সেটে
নিজের সেরাটা মেলে ধরতে না পারার কারণ হিসেবে হিমু বললেন নিজের অনভিজ্ঞতার
কথা। রুপা জয়ের উচ্ছ্বাসের ফাঁকে সোনা হারানোর হতাশার মিশেল তার কণ্ঠে।
“এই
প্রথম আমি এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপসে খেললাম। আমি আসলে ওইরকম নার্ভাস
ছিলাম না। আমার অভিজ্ঞতা একটু কম, শুরুতেই তাই একটু খারাপ হয়ে গেছে। তবে
এশিয়ান আর্চারিতে আমরা এই প্রথম দেশকে পদক এনে দিতে পারলাম, এটা আমাদের
সামনের পথচলায় আত্মবিশ্বাস যোগাবে।”
এশিয়ান আর্চারির সর্বোচ্চ আসরে
কম্পাউন্ড ইভেন্ট থেকে এই প্রথম পদক পেল বাংলাদেশ। রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড
মিলিয়ে রুপা হলো দুটি। ২০২১ সালে রিকার্ভ মিশ্র দ্বৈত থেকে বাংলাদেশকে
প্রথম রুপার পদক এনে দিয়েছিলেন হাকিম আহমেদ রুবেল ও দিয়া সিদ্দিকী জুটি।
এশিয়ান
আর্চারির সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে বাংলাদেশের পদক হলো ৪টি। ২০২১ সালে
জেতা তিন পদকের মধ্যে ছিল রিকার্ভ পুরুষ ও মহিলা বিভাগের ব্রোঞ্জ।
