চৌদ্দগ্রাম
প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত
কলেজ ছাত্র শাহেদ মজুমদার লিশান আজ বুধবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন। ঢাকার
নিউরো সাইন্স হসপিটালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। লিশান
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র
ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের আবদুল মন্নান মজুমদারের একমাত্র
ছেলে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের জেঠাতো ভাই সৈকত মজুমদার ও প্রতিবেশী
সাংবাদিক আবু বকর সুজন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের
ফাঁসিয়াখালী ঢালা এলাকায় গত ৫ নভেম্বর বুধবার সকালে চট্টগ্রামমুখী মারসা
পরিবহনের একটি বাসের সাথে কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই
মারা যান লিশাসনের বোন ফারজানা মজুমদার লিজা, ফারহানা মজুমদার টিজা, মা
রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী, বোনের শ^াশুড়ি রুমি বেগম ও ননদ সাদিয়া পাটোয়ারী।
আহত হন লিশান মজুমদার, দুলাভাই উদয় পাটোয়ারী ও ভাগিনা সানাদ পাটোয়ারী। খবর
পেয়ে স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও প্রশাসন আহতদেরকে উদ্ধার শেষে
চকরিয়া ও কক্সবাজারের হাসপাতালে ভর্তি করায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য লিশান
মজুমদারকে প্রথম দুইদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম
পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় লিশান মজুমদারকে
বুধবার সকালে ঢাকার নিউরো সাইন্স হসপিটালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। আগে স্ত্রী ও দুই মেয়ের পর একমাত্র
ছেলেকে হারিয়ে পিতা আবদুল মন্নান মজুমদার এক হয়ে এখন বাকরুদ্ধ।
বুধবার
সন্ধ্যায় নিহতের প্রতিবেশি সাংবাদিক আবু বকর সুজন বলেন, একটি দুর্ঘটনায় একই
পরিবারের ৪ জন সদস্য মারা যাওয়ায় একা হয়ে পড়েছেন আবদুল মন্নান মজুমদার।
তাকে শান্তনা দেয়ার ভাষা কারো জানা নেই।
