নিজস্ব প্রতিবেদক।। ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচিকে ঘিরে কুমিল্লা জেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা রোধে জেলা পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, হাইওয়ে ও জিআরপি পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। জেলাজুড়ে মোতায়েন থাকবে প্রায় ২ হাজার ৩০০ পুলিশ সদস্য। পাশাপাশি শহরের প্রবেশমুখ, মহাসড়ক, রেলস্টেশন ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসানো হয়েছে ২০টিরও বেশি চেকপোস্ট, যেখানে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও ছোট-বড় যানবাহনে তল্লাশি চালানো হবে।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ কুমিল্লা-নোয়াখালী, চাঁদপুর ও সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কঠোর নজরদারি থাকবে। পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি মাঠে থাকবে র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সাদা পোশাকে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ দল। টায়ারে আগুন জ্বালানো, সড়ক অবরোধ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগসহ যেকোনো ধরণের নাশকতা প্রতিরোধে বুধবার মধ্যরাত থেকেই শুরু হবে পুলিশের বিরামহীন টহল কার্যক্রম।
পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচিকে ঘিরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশেষ টিম বিভিন্ন এলাকায় টহল দেবে। হাইওয়েতে হাইওয়ে পুলিশ, রেলপথে জিআরপি পুলিশ এবং শহরে জেলা পুলিশ যৌথভাবে কাজ করবে।
তিনি আরও জানান, শহরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এরই মধ্যে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার বলেন, ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে। ২ হাজার ৩০০ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তাদের অবস্থান থাকবে, যাতে কোনো দুষ্কৃতিকারী বা গোষ্ঠী নাশকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।
