
১৮
নভেম্বর ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ হোম
ম্যাচ। সেই ম্যাচের আগে বাফুফে আগামী পরশু নেপালের বিরুদ্ধে একটি প্রীতি
ম্যাচের আয়োজন করেছে। সেই প্রীতি ম্যাচ খেলতে আজ বিকেলে ঢাকায় এসেছে নেপাল।
সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের ফুটবলাররা ঘরোয়া লিগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন।
এই অস্থিরতার মধ্যেও নির্ধারিত সূচিতে প্রীতি ম্যাচ খেলতে এসেছে নেপাল।
নভেম্বর
উইন্ডোতে দু'টি ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ ৩০ অক্টোবর থেকে ক্যাম্প শুরু
করেছে। পরের দিন থেকে অনুশীলন। আজকের অনুশীলনে বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে
হামজা চৌধুরি যোগ দেয়ায়। ফুটবলারদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ছিল তুলনামূলক
বেশি। আজ মিডিয়ার সামনে ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন বলেন, 'হামজা ভাই থাকলে
এমনিতেই আমাদের টিম মোরালি অনেক আপ হয়ে যায়। তো সে আসাতে আমাদের টিমের
মোরাল আরও আপ হয়েছে।'
হামজা ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলেছেন। এখন
খেলছেন লেস্টারের মতো বেশ বড় ক্লাবে। বাংলাদেশের হয়ে যখন খেলতে আসেন তখন
তিনি সবার সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশে যান। হামজা দেশের বিভিন্ন পণ্যের দূত
হচ্ছেন। এটা ফুটবলারদের জন্য বেশ ইতিবাচক মনে করছেন রাকিব, 'হামজা ভাই অনেক
প্রফেশনাল একজন ফুটবল প্লেয়ার। তার এগুলো আসলে আমাদের কাছে অনেক ভালো
লাগে। কারণ সে আসার পর থেকেই এখন পর্যন্ত ব্যস্ত। তো এখন এগুলো আসলে
ফুটবলের জন্যই অনেক ভালো।'
ভারত ম্যাচের টিকিট ছাড়ার মিনিট ছয়েকের
মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। অনেক সমর্থক-ফুটবলপ্রেমীরা টিকিটের জন্য এখনো হাহাকার
করছেন। দর্শকদের এত উন্মাদনা নিয়ে রাকিব বলেন, 'না, আসলে চাপ না। কারণ
ফুটবলের ম্যাচের আসলে আকর্ষণীয় হলো দর্শক, যারা আমাদেরকে মাঠে সবসময়
এনার্জি দেয়। তো এবার আমরা দেখছি যে খুব তাড়াতাড়ি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
তো এইটা আসলে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা ভালো কিছু করার জন্য।'
এশিয়ান কাপ
বাছাইয়ে বাংলাদেশ চার ম্যাচ খেলেছে। চার ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচেই গোল
করেছেন রাকিব। হংকংয়ের বিপক্ষে হংকংয়ে তার গোলে বাংলাদেশ এক পয়েন্ট পেয়েছে।
এরপরও গোল উদযাপন নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। আজ এই প্রসঙ্গ আবার উঠলে রাকিব
বলেন, 'হ্যাঁ, আসলে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু শেষ যখন সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমি
গোল করছিলাম, তখন কিন্তু আমি বল নিয়ে তাড়াতাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ
ম্যাচে যখন আমি হংকংয়ে গোল করি, তখন ওদের দর্শক অনেক বাজে ইঙ্গিত করছিল,
যার কারণে আমি সেলিব্রেশন করছিলাম। যদিও এরকম না হইত, তাহলে আমি সেলিব্রেশন
করতাম না।'
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি মূলত প্রস্তুতিমূলক। তাই আগামী
পরশু ১৭ জন ফুটবলারকেই মাঠে নামাবেন বাংলাদেশ কোচ ক্যাবরেরা, 'আমরা ভারত
ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই যতটা সম্ভব গেমটাইম দেব এবং ১৭ জনকেই
ব্যবহার করার চেষ্টা করব। প্রথম একাদশ এবং ছয়জন বদলি। হ্যাঁ, ভারতের
বিপক্ষে ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়া এবং জেতার দিকেই মনোযোগ দিতে চাই।'
