
দুই
দিনব্যাপী বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানের শেষটা গেল
বিরূপ আবহে। আমন্ত্রণ পেয়েও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রবেশের সুযোগ না পেয়ে
ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন উপস্থিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা।
মূল ফটকের সামনে অবস্থান, স্লোগান, আর শেষ পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলন বর্জনে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়।
অব্যবস্থাপনায়
নতুন পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বড় আয়োজনেই যে অস্বস্তিকর প্রশ্ন দাঁড়াল, তার
প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে অনুষ্ঠান জুড়ে। অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায় সংবাদমাধ্যমের
উপস্থিতি ছাড়াই।
তাদের কথা ছিল একটাই, সংবাদমাধ্যমকে উপেক্ষা করা এবং
আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রবেশ বন্ধ রাখা অবমাননাকর। প্রতিবাদে ঘটনাস্থলে জড়ো হন
ক্রীড়া সাংবাদিকরা। ক্ষোভ প্রতিবাদে রূপ নেয়। মূল প্রবেশপথের সামনে অবস্থান
নিয়ে বয়কটের স্লোগান দেন তারা।
কনফারেন্সের সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে
বিকেলের ভাগে যোগ দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া। বাইরে
সংবাদমাধ্যমকর্মীদের বয়কটের ঘোষণা পরিস্থিতি সামলাতে বাইরে আসেন ক্রীড়া
উপদেষ্টা ও বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দুই পক্ষের মধ্যে কথোপকথন
হয়। অনুরোধ জানানো হয় বয়কট তুলে নিতে। তাতেও সাড়া না দিয়ে সাংবাদিকরা বলেন,
এ ঘটনায় তাদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে, কারণ প্রটোকল বা অনুমতি সংক্রান্ত
কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তাই তারা সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।
পরে বিসিবির
মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, গ্রাউন্ডস কমিটির সহ-সভাপতি আদনান
রহমান দীপনসহ কয়েকজন কর্মকর্তাও বাইরে এসে বোঝানোর চেষ্টা করেন। সমাপনী
সংবাদ সংগ্রহ করে বিষয়টি তুলে ধরার আহ্বান জানান। কিন্তু সমাপনী অনুষ্ঠান
বয়কটের সিদ্ধান্তে সংবাদকর্মীদের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকে।
উত্তেজনার
রেশ থাকতেই সাংবাদিকরা বয়কট চূড়ান্ত করে হোটেল চত্বর ত্যাগ করেন।
ঘণ্টাখানেক পর ক্রীড়া উপদেষ্টাকেও অনুষ্ঠানস্থল ছাড়তে দেখা যায়। এর পরপরই
কয়েকজন পরিচালকও বেরিয়ে যান। পুরো ঘটনাকে বিসিবির নতুন পরিচালনা পর্ষদের
জন্য অস্বস্তিকর বার্তা হিসেবে ধরা হচ্ছে। এই কনফারেন্স ছিল তাদের প্রথম বড়
আয়োজন, যেখানে ব্যবস্থাপনা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠল, কঠিন বার্তাও গেল।
