প্রকাশ: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৩০ এএম আপডেট: ১২.১১.২০২৫ ১২:৫০ এএম |
কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রথমবারের মতো গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ও
কুমিল্লার স্থানীয় পত্রিকা কুমিল্লার কাগজ একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক)
স্বাক্ষর করেছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।
সমঝোতা
স্মারক অনুযায়ী, বিভাগের শিক্ষার্থী কুমিল্লার কাগজে ইন্টার্নিশিপের
সুযোগসহ রিপোর্টিংয়ে কুমিল্লার কাগজের অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের সহযোগিতা পাবে।
কুমিল্লার কাগজ ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে
একটি ফ্যাক্টচেকিং কর্নার গঠন করবে। বিভাগের শিক্ষার্থীরা কোনো সভা,
সেমিনারে কুমিল্লার কাগজের অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের থেকে তাদের অভিজ্ঞতা অর্জন
করবে। এবং নৈতিকতা ও বৈচিত্র বজায় রেখে দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে জনসচেতনতা
বৃদ্ধিমূলক কন্টেন্ট তৈরি করবে।
জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান
ডয়েচেওলে একাডেমির সহযোগিতায় ও সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন
ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) এর উদ্যোগে 'জার্নালিজম ফর দ্য ফিউচার' প্রকল্পের
অধীনে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। সমঝোতা স্মারকে কুমিল্লার কাগজের
পক্ষ থেকে পত্রিকার সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয় এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
বিভাগের পক্ষ থেকে বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষর করেছেন।
সমঝোতা
স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর
মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) এর ডেপুটি ডিরেক্টর কামরুল হাসান, প্রজেক্ট
অফিসার ইয়াসিন আহমেদ ও সাদমান আল আরবি, কুমিল্লার কাগজের প্রধান বার্তা
সম্পাদক জহির শান্ত ও নিজস্ব ফটোগ্রাফার ইলিয়াছ হোসাইন, গণযোগাযোগ ও
সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক জাকিয়া জাহান, মশিউর রহমান ও আব্দুল্লাহ আল
মামুন চৌধুরীসহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে
কুমিল্লার কাগজের প্রধান বার্তা সম্পাদক জহির শান্ত বলেন, '২০০৪ সালে
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কুমিল্লার কাগজ বস্তুনিষ্ঠতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
আমাদের নামের পাশে আমরা কখনো কোন ট্যাগ লাগতে দিইনি। আজকের এই সাইনিং
সিরিমনির উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এখানে জানতে পারলাম ডি ডব্লিউ
সাংবাদিকতা বিভাগের অনেক স্টুডেন্টকে ফেলো হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে,
এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো। এর আগে যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমাদের
সম্পর্ক ছিলনা- বিষয়টা এমন নয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক স্টুডেন্ট
যারা সাংবাদিকতা করে তারা আমাদের অফিসে আসে আমরা তাদের যথাযথ সহযোগিতা করার
চেষ্টা করি। তারাও আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে, সে পরিধিটা আশাকরি এখন
আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই আজকের এই আয়োজনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ।'
সাউথ
এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) এর ডেপুটি ডিরেক্টর
কামরুল হাসান বলেন, 'এইরকম একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য আমরা যে পথ
পাড়ি দিয়েছি তা অনেক কঠিন ছিল। আমরা আপনাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। তবে এটা
সহজ ছিল না কারণ একটা শহর থেকে অনেক পত্রিকা বের হয়। অনেক কায়দা অবলম্বন
করে আমরা আপনাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। আমি আশা করছি আমাদের দৌড়টা লম্বা
হবে। এর বাইরে আমরা দেশের পাঁচটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছি। আমাদের
সাথে ডি ডব্লিউ কাজ করছে যেন সাংবাদিকতার ভবিষ্যতকে আমরা নির্মাণ করে দিতে
পারি। সে কারণে আমাদের চেষ্টা এবং তার ফলে আজকের এ অনুষ্ঠান। এক দুই বছরে
রিউমর, সংবাদের সত্য অসত্য, মোবাইল জার্নালিজম অনেক বিষয় চলে এসেছে। আমরা
চেয়েছি যে একাডেমিতে যা চর্চিত হওয়া উচিত কিন্তু হয়না সেসব নিয়ে চর্চা
করতে। ভবিষ্যতের সাংবাদিকদের তৈরি করতে এসব করা প্রয়োজন। আমরা বাইরে যারা
কাজ করি আমাদের দায়িত্ব থাকে পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা দিয়ে এসব বিষয় এগিয়ে
নেওয়া। আমরা আশা করছি তরুণ সাংবাদিকদের একটি সুন্দর ভবিষ্যতের।'
গণযোগাযোগ
ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসান বলেন, 'সকলের
পার্টিসিপেশন থাকলে সব বিষয় সহজ হয়। এই পার্টিসিপেশনের উদ্যোগ নিয়েছে
সাকমিড। আর কুমিল্লার কাগজকে আমরা চিনি কিন্তু তাদের সাথে আমাদের লিখিত
কোনো সম্পর্ক এতোদিন ছিল না, তবে এখন তা তৈরি হয়েছে। ডি ডব্লিউ একাডেমি
অলরেডি আমাদের স্টুন্টদের বিভিন্ন ট্রেনিং দিচ্ছে ফলে সেখান থেকেও
স্টুডেন্টরা জ্ঞান পাচ্ছে আবার আমাদের কাছ থেকে একাডেমিক জ্ঞান পাচ্ছে।
আমাদের স্টুডেন্টরা ফেলো হিসেবে ডি ডব্লিউ তে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়
ট্রেনিং করছে এটা তাদের জন্য অনেক উপকারী হচ্ছে। পাশাপাশি বিভাগেও আমরা
অনেক নতুন কোর্স করাচ্ছি এক্সাপার্টদের দিয়ে। আমাদের স্টুডেন্টরা মোবাইল
জার্নালিজম, ফ্যাক্টচেক, ডেটা জার্নালিমের মতো এডভান্স কোর্সগুলো করছে। যার
ফলে তারা অনেক এগিয়ে যাবে। সাকমিড, ডি ডব্লিউ ও কুমিল্লার কাগজকে অনেক
ধন্যবাদ আমাদের বিভাগকে সাথে নেওয়ায়। আশাকরি আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।'