নিজে
ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ভোটাধিকার প্রয়োগে সবাইকে উৎসাহিত করার জন্য
নাগরিকদের প্রতি আহ্বান রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার
অভিযান শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির
উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও নিবার্চন কমিশনের সচিব রোববার ভিডিও
বার্তা দিয়ে প্রচার অভিযান শুরু করেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ফেইসবুক
পেইজে দেওয়া সেই ভিডিও বার্তার শিরোনাম-‘আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা’।
প্রধান নির্বাচন
কমিশনা-সিইসি নাসির উদ্দিন দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন
হতে যাচ্ছে আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। একদিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে,
অন্যদিকে আমাদের সমগ্র দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের ভোটাধিকার
প্রয়োগের জন্য।
“আমাদের তরুণ সমাজ, বিশেষত যারা প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে, তাদের আগ্রহ আমাদের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।”
আগামী
বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের
প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন-ইসি। তার আগে ২ নভেম্বর অন্তর্র্বতী সরকার
নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার অভিযান শুরু করে।
সরকারের এ প্রচার
অভিযানের প্রথম টিজারে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান
জানিয়েছেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রমের সমন্বয়ক ও গুমের শিকার
পরিবারের প্রতিনিধি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন খান সুবায়েল বিন রফিক।
আর
রোববার প্রচার অভিযান শুরু করে সিইসি বলেন, “আপনার ভোট আপনার শক্তি। নিজে
ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন এবং অন্যদেরও ভোট প্রদানে উৎসাহিত করুন।”
প্রবাসে
বসবাসরত বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ
বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রথমবারের মতো প্রবাসে
বাংলাদেশি ভোটারদের ভোট নিশ্চিতকল্পে নির্বাচন কমিশন একনিষ্টভাবে কাজ করে
যাচ্ছে।”
সবার সহযোতিায় এ উদ্যোগের সফলতা পাবে বলে আশা করেন তিনি।
নির্বাচন
কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “মিথ্যা তথ্যের কারণে সুষ্ঠু
নির্বাচনের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যহত হতে পারে।
আমাদের সবার দায়িত্ব কোনো খবর যে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে যেন বিভ্রান্ত না
হই। সত্যিকারের নির্ভরযোগ্য উৎস হতে খবর সংগ্রহ করতে হবে।”
প্রয়োজনে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অফিসে বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
নির্বাচন
কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “দেশের প্রতিটি নাগরিকের
প্রত্যাশা-একটি ভালো নির্বাচন। আগামী নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী,
জনপ্রতিনিধি এবং সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান, আপনারা নির্বাচনের
আচরণবিধি ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন-বিধি বিধান কঠোরভাবে মেনে চলবেন।”
নির্বাচন
কমিশনার তাহমিদা আহমদ বলেন, “দেশের মোট জনসংখ্যার নারী-পুরুষ প্রায় সমান
সমান। আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া অবশ্যই জেন্ডার বান্ধব হতে হবে। ভোট
প্রদান করা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। কাউকে অধিকার বঞ্চিত করার অধিকার
কারো নেই।”
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের জনসাধারণের সর্বাধিক ভোট যেন দিতে পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিতে ইসি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
নির্বাচন
কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন যে কোনো প্রেক্ষাপটে বিরাট সমন্বয়ের
ব্যাপার। এ সমন্বয়ে প্রত্যেকটা মানুষের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা অসম্ভব রকমের
প্রয়োজনীয় বিষয়। সে প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি
নিচ্ছি। আমরা অঙ্গীকার করছি-ভালো নির্বাচন জাতিকে উপহার দেব।”
