
আফগানিস্তান
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯
দল। দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজে
পিছিয়ে পড়ে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। তাই সিরিজ বাঁচাতে হলে শেষ ম্যাচে
জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে
দলকে জেতালেন অধিনায়ক। ২ উইকেটের এই জয়ে ২-২ সমতায় সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ।
রাজশাহীর
শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০
ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে ৪৫ ওভার ৫ বলে ৮
উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে
নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৫ বল খেলে ৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন
শাহরিয়ার আহমেদ। তাতে ২০ রানেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে উইকেটে থিতু
হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি কালাম সিদ্দিকি অ্যালেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে
২৫ বলে ১৫ রান।
৪১ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশেত হাল ধরেন তামিম ও
রিজান। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৪ রান। ২৭ রান করে রিজান
ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। ইনফর্ম এই ব্যাটারের বিদায়ের পর উইকেটে এসে ১ রানে
ফিরেছেন আবদুল্লাহ। তাতে একশর আগেই ৪ উইকেট হারায় দল।
ফরিদ হাসানকে
সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন তামিম। ২৩ রান করে ফরিস
ফিরলে ভাঙে ৫৪ রানের সেই জুটি। এরপর দেবাশীষ দেবা, সামিউন বশিরার দ্রুত আউট
হয়ে গেলে বিপদে পড়ে দল।
তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে
জয়ের পথে রাখেন তামিম। ১১৮ বলে ১০০ রান করে তামিম যখন আউট হন তখন জয় থেকে
মাত্র ২ রান দূরে। নতুন ব্যাটার স্বাধীন এসে প্রথম বলেই চার মেরে দলের জয়
নিশ্চিত করেন।
এর আগে ওসমান সাদাতের ফিফটিতে লড়াকু সংগ্রহ পায়
আফগানিস্তান। দলের হয়ে এই ব্যাটার করেন ৬৮ রান। এ ছাড়া মাহবুব খানের ব্যাট
থেকে এসেছে ৪০ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন বশির।
