নিজস্ব
প্রতিবেদক: বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ ইউকে’র প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে কাজ করি, কোন
ব্যক্তি স্বার্থে নয়। আমরা বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা
ব্যবস্থায় সরকারের যে ব্যর্থতা, চিকিৎসকদের দৌরাত্ম ও রোগীদের জিম্মি করে
রাখাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দূর করা সহ শিক্ষা ব্যবস্থা- যাতায়াত ব্যবস্থা,
ব্যাংকিং ব্যবস্থা সহ অনেক গুলো বিষয়ে জানালাম। আমার বিশ^াস, এগুলো
গণমাধ্যমে তুলে ধরা গেলে বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। আমাদের
কথা মানুষর মৌলিক অধিকার নিয়ে কারো ব্যক্তি স্বার্থে নয়, রাজনৈতি উদ্দেশ্যে
নয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ -অলাভজনক ও অব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান। সামাজিক
সংগঠন, যা বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে কাজ করছে। আমাদের সদস্য
সংখ্যা চারটি দেশে ১৮৮ জন। আমাদের সংবাদ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বাংলাদশে ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে তাদেরকে
বার্তা দেওয়া, আমরা কথা বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে।
গত ৭ নভেম্বর ইংল্যান্ডের লন্ডনে হোয়াইটচ্যাপেলের একটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ ইউকের প্রধান উপদেষ্টা
ব্যারিস্টার কাজী আনোয়ার হোসেন বলেছেন, সেক্রেটারি জেনারেল সাফওয়ান আহমেদ
হিমেল, কোষাধ্যক্ষ একেএম কামরুল হাসান চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
দিদারুল আলম মজুমদার ও দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আল আমিন মিয়া।
সংবাদ
সম্মেলনে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ ইউ কে’ সম্পর্কে জানানো হয়, বাংলাদেশ
উন্নয়ন পরিষদ ইউ কে একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠণ। সংগঠনটি ২০১৮ সালে
যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই সংগঠনের মুল লক্ষ্য বাংলাদেশে মানুষের
মৌলিক অধিকার নিশ্চিতরণে কাজ করা। যেমন শিক্ষা, চিকিৎসা, রাজনৈতিক
অস্থিরতা, পথশিশু এই সকল নানা প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর সরকারের নিকট বিশেষ
বার্তা প্রেরণ করা ।যুক্তরাজ্জ্য ছাড়াও সংগঠনটির বাংলাদেশ, সৌদি আরব ও
ফ্রান্সে আরো তিনটি শাখা আছে। সংগঠনটি মূলত বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক
অধিকার নিয়ে কাজ করে ।
সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে সংগঠনটির বিশিষ্ট
ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল - মামুন বলেন, বিগত সরকারের আমলে চিকিৎসা ,শিক্ষা
ব্যবস্থা, ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক খাতে বেপক লুটপাট ও দুর্নীতি হয়েছে যার
খেসারত এখনও জনগণকে দিতে হচ্ছে। বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকার ও আগামী
সরকারের কাছে আমাদের কিছু পরিকল্পনা গুলো জানাতেই আজকের সংবাদ সম্মেলন ।এই
পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হলে মানুষের মৌলিক অধিকার কিছুটাও হলে বাস্তবায়ন
হবে।
শিক্ষাখাতের বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মৌলিক অধিকার হিসেবে
শিক্ষাকে প্রধান্য দিয়ে ব্যবসায়ীক ভাবে গড়ে উঠা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে
শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ সহ সামষ্টিক গুণগত মান যাচাই করতে হবে । ভালোভাবে
খোজ নিলে দেখা যায়, গত কয়েক বছরে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শীর্ষ
প্রশাসনিক পদে অন্তত ৫০ থেকে ৭০টি নিয়োগ রাজনৈতিক আনুগত্যের প্রভাবে হয়েছে ।
পাশাপাশি, টিআইবির গবেষণায় ১৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে
রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা স্বজনপ্রীতি ধরা পড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের
৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতার তোয়াক্কা না করে অর্থ লেনদেনের
মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ব্যাংকিং খাতের বিষয়ে তিনি বলেন,
গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। বিগত সরকারের সময়ে নামে
বেনামে লোন দেয়ার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে, যার
কারনে ৮/৯টি ব্যাংক গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা দিতে পারছেনা। যারা এই ব্যাংকিং
দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদেরকে সম্পূর্ণ বিচারের আওতায় এনে তাদের সম্পত্তি
বাজেয়াপ্ত করে ব্যাংকিং খাতের এই সমস্যা সমাধান করতে হবে।
বিচার
ব্যবস্থার সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের অনেক আদালত মিথ্যা মামলায়
সয়লাব। বিগত ১৬/১৭ বছর ধরে মিথ্যা মামলার এক বিশাল বিচারের ব্যবস্থা বহন
করেছে কিছু নিরীহ সহজ সরল মানুষ। বাংলাদেশ সরকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে যদি কেউ মিথ্যা মামলা করে তাহলে তা
প্রমাণীত হওয়ার পর প্রতিপক্ষের সকল খরচ তাকে বহন করতে হবে।