মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত রিজিক বৃদ্ধির দুটি দোয়া:
১. হালাল রিজিক ও মানুষের মুখাপেক্ষিতা থেকে মুক্তি পেতে মুক্তি পেতে এ দোয়াটি পড়ুন:
উচ্চারণ: আল্লাহুমমাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়াগনিনী বিফাদ্বলিকা আম্মান সিওয়াকা।
অর্থ:
হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে আপনার হালাল রিজিক আমার জন্য যথেষ্ট করুন।
আপনি ছাড়া অন্য সবার অমুখাপেক্ষিতা থেকে আমাকে মুক্তি দিন।
আলী (রা.)
থেকে বর্ণিত, একজন ’মুকাতিব’ (লিখিত চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ
দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কৃতদাস) তার কাছে গিয়ে নিবেদন করলো, আমি আমার
নির্ধারিত অর্থ দিতে অপারগ, অতএব আপনি আমাকে সাহায্য করুন। তিনি তাকে এ
দোয়াটি শিখিয়ে দিয়ে বললেন, এ দোয়াটি আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) আমাকে শিখিয়েছিলেন। যদি তোমার ওপর পর্বত সমপরিমাণ ঋণও থাকে, এই
দোয়ার বরকতে আল্লাহ তাআলা তোমার পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করে দেবেন। (সুনানে
তিরমিজি: তিরমিযী ৩৫৬৩)
২. রিজিকে প্রশস্ততা ও বরকতের জন্য এ দোয়াটি পড়ুন:
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির লী জাম্বী, ওয়া ওয়াসসী লী ফী রিজকী ওয়া বারিকলী ফীমা রাজাকতানী।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করে দিন, আমার রিজিকে প্রশস্ততা দান করুন এবং আপনি আমাকে যে রিজিক দিয়েছেন তাতে বরকত দান করুন।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি রাতে মহানবীকে (সা.) এ দোয়াটি পড়তে শুনেছেন। (সুনানে তিরমিজি: ৩৫০০)
দুনিয়ার
জীবনে আল্লাহর দেওয়া সব ধরনের জীবন-উপকরণ ও নেয়ামতকে রিজিক বলা হয়। রিজিক
শুধু খাবার-পানীয় নয়, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষাসহ জীবনে টিকে থাকার
অন্যান্য সহায়ক মাধ্যম ও সুবিধাগুলোও রিজিক।
কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
জমিনে বিচরণকারী যত প্রাণী আছে, সবার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপরে। (সুরা
হুদ: ৬) অর্থাৎ মানুষসহ সব প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ তাআলার ওপর;
তিনিই সবাইকে রিজিক দান করেন। আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহ তার
বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন। তিনি
মহাশক্তিধর, মহাপরাক্রমশালী। (সুরা শুরা: ১৯)
আল্লাহ তাআলা সবাইকে সমান
রিজিক দেন না। কাউকে বেশি দেন, কাউকে কম দেন। কাউকে প্রচুর ধন-সম্পদ দান
করেন, কাউকে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত করেন। আল্লাহ তার ইচ্ছা ও হেকমত
অনুযায়ী রিজিক বণ্টন করেন। এভাবে পৃথিবীতে ভারসাম্য বজায় থাকে এবং আল্লাহ
তাআলা তার বান্দাদের পরীক্ষা করেন। বেশি রিজিক যাদের দেন, তারা যেমন এক রকম
পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়, যারা কম রিজিক পায়, তারাও পরীক্ষার মধ্য দিয়ে
যায়।
মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছে হালাল বা উত্তম রিজিক প্রার্থনা করতেন।
উল্লিখিত দুটি দোয়াসহ মহানবী (সা.) থেকে এ রকম আরও অনেক দোয়া বর্ণিত হয়েছে
যেগুলোতে তিনি দারিদ্র্য থেকে আল্লাহ তাআলার আশ্রয় চেয়েছেন এবং হালাল ও
উত্তম রিজিক প্রার্থনা করেছেন।
