
পুরুষ
এককের ফাইনাল হলো একপেশে। রামহিম লিয়ন বমকে স্রেফ উড়িয়ে দিলেন মুহতাসিন
আহমেদ হৃদয়। মেয়েদের এককে অবশ্য লড়াই হলো জমজমাট; সোনম সুলতানা সোমাকে
হারিয়ে শিরোপা জিতলেন খই খই মারমা।
পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর
স্টেডিয়ামে সোমবার দুই ইভেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। মেয়েদের ফাইনালে খই খই
জিতেছেন ৩-২ সেটে। ছেলেদের ফাইনালে হৃদয়ের জয় ৩-০ সেটে।
মেয়েদের একপেশে
ফাইনালে ১১-৪ পয়েন্টে প্রথম সেটে জিতে এগিয়ে যান খই খই। শুরুর জড়তা কাটিয়ে
দ্বিতীয় সেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সোমা জিতে নেন ১১-৯ ব্যবধানে। তৃতীয়
সেটে ১১-৪ পয়েন্টে জিতে ফের এগিয়ে যান খই খই। চতুর্থ সেট ১১-৯ ব্যবধানে
জিতে ম্যাচের ভাগ্য পঞ্চম সেটে টেনে নিয়ে যান সোমা। সেখানে ১১-৭ পয়েন্টে
জিতে শিরোপা নিজের করে নেন খই খই।
বর্তমান জাতীয় র্যাংকিংয়ে খই খই তৃতীয়
বাছাই। সোমা ছিলেন দ্বিতীয় বাছাই। অভিজ্ঞ সোমাকে হারানোর আত্মবিশ্বাস
কোথায় পেলেন- এই প্রশ্নের উত্তরে খই খই বললেন, সেমি-ফাইনালে শীর্ষ বাছাই
সাদিয়া ইসলাম মৌকে হারানোর কথা।
“আসলে আমার সেমি-ফাইনাল ছিল মৌয়ের সাথে,
সে এখন বাংলাদেশের এক নাম্বার। তো ওনার সাথে জিতে আমার আত্মবিশ্বাস
বেড়েছিল, মনে হচ্ছিল যে আমি ফাইনালে ভালো খেলতে পারব। আমি এই আত্মবিশ্বাস
নিয়ে নেমেছিলাম যে, যতটুকু পারি চেষ্টা করব। আমার লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন
হওয়া। জয়ী হতে পেরেছি; ভালো লাগছে।”
ছেলেদের ফাইনালে যা একটু লড়াই হয়েছে
দ্বিতীয় সেটে। ১১-৬ ব্যবধানে প্রথম সেট জয়ের পর দ্বিতীয় সেটও ১১-৮ পয়েন্টে
জিতে নেন হৃদয়। তৃতীয় সেটে রামহিম থাকেন আরও বিবর্ণ; ১১-৩ পয়েন্টে জিতে
শিরোপা উচ্ছ্বাসে মাতেন হৃদয়।
হৃদয় এখন তাকিয়ে আছেন জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ আলো ছড়াতে। আসছে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসেও ভালো করতে চান তিনি।
“সামনে
তো ন্যাশনাল (জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ) হওয়ার কথা আমাদের। যদি
ন্যাশনাল হয়, ইনশাআল্লাহ লক্ষ্য থাকবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। ইসলামিক সলিডারিটি
গেমসে যাচ্ছি আমরা। আশা করব, সেখানেও ভালো করার চেষ্টা করব।”
“ইসলামিক
সলিডারিটি গেমসে আসলে অনেক ভালো ভালো দলই আসবে। যেমন ইরান আছে, ইরাক আছে,
কাজাখস্তান আছে, বিভিন্ন দেশ আসবে। তো আমরা চেষ্টা করব সেখানে আমাদের
সেরাটা দিয়ে দেশকে একটা পদক এনে দিতে।”
