
বিশ্বকাপ
বাছাইপর্বের খেলায় এক মাস (৫ সেপ্টেম্বর) আগে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে দেখা
হয়েছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার। যেখানে লিওনেল মেসির জোড়া গোলে
আলবিলেস্তেরা ৩-০ ব্যবধানে জয় পায়। একই দাপট আজও (শনিবার) দেখিয়েছে লিওনেল
স্কালোনি। তবে একের পর এক আক্রমণের পসরা সাজিয়েও তাদের হতাশ হতে হয়েছে
সুযোগ মিস ও ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষকের দারুণ দৃঢ়তায়। অবশ্য আর্জেন্টিনা জিতল
১-০ ব্যবধানে।
মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে আজ ভোরে ফিফা প্রীতি ম্যাচে
নামে দুই দল। যেখানে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে একপেশে দাপটই ছিল আর্জেন্টিনার।
তবে ব্যবধান বাড়াতে না পারার হতাশার ছাপ ছিল অভিজ্ঞ ও তরুণ ফুটবলারদের
চোখেমুখে। ম্যাচে ৭৭ শতাংশ বলের দখল রেখে ১৭টি শট নেয় আর্জেন্টিনা, এর
মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৯টি। তাদের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন জিওভান্নি লো
সেলসো। বিপরীতে ভেনেজুয়েলা ৫টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
আর্জেন্টিনার
স্কোয়াডে থাকলেও, ম্যাচটিতে লিওনেল মেসিকে না খেলানোর ইঙ্গিত আগেই
দিয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। তারই বাস্তবায়ন দেখা গেল ভেনেজুয়েলা
ম্যাচে। মেসিকে বিশ্রামে রেখে তরুণ ফুটবলারদের পরখ করে দেখেছেন
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কোচ। তাদের আরও বড় জয় পাওয়া হয়নি ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষক হোসে
কন্ত্রেরাসের দুর্দান্ত সব সেভের কারণে। তিনি অন্তত ১০টি শট ঠেকিয়েছেন,
যার ৬টিই ছিল দ্বিতীয়ার্ধে।
শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে
থাকে আর্জেন্টিনা। ৬ মিনিটেই প্রথম সুযোগ পায় তারা, তবে লাউতারো
মার্টিনেজের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে গোলবারের ওপর দিয়ে বল পাঠান ভেনেজুয়েলা
গোলরক্ষক। ২৯ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পায় ভেনেজুয়েলা। মেনদোজার বাড়ানো ক্রসে
দ্বিতীয় বারে প্রায় ফাঁকায় ছিলেন মার্কোস। কিন্তু তিনি হেডটি লক্ষ্যেই
রাখতে পারলেন না। এরপরই কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে আলভারেজ ও লাউতারো হয়ে বক্সে
বল পেয়ে যান লো সেলসো। তরুণ এই মিডফিল্ডার বাঁ পায়ের জোরালো নিচু শটে এবার
ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছেন।
৩১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া
আর্জেন্টিনা মিনিট দশেক পরই ব্যবধান বাড়াতে পারত। কিন্তু তিন ডিফেন্ডারকে
কাটিয়ে দু’বার শট নিয়েই লাউতারো গোলরক্ষক কন্ত্রেরাসের কাছে পরাস্ত হয়েছেন।
প্রথমার্ধের পর বিরতির পরও নিকো পাজের শট অনায়াসে হাতে আটকেছেন তিনি।
আলভারেজকে ফাউল করায় ৬১ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা, তবে তিনি নিজেই
গোলের লক্ষ্যে শট নেন ঠিকই, তবে তাতে জোর ছিল না। আলভারেজ-এনজো-মোলিনাদের
উঠিয়ে ৭০ মিনিটের পর বদলি নামানো হয় রদ্রিগো ডি পল, ম্যাক অ্যালিস্টার ও
বালের্দিকে।
টানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেও অবশ্য এরপরও ব্যবধান বাড়েনি
আর্জেন্টিনার। সতীর্থদের গোল মিসের মহড়া গ্যালারিতে বসে দেখেছেন মেসি।
এদিকে, প্রতিপক্ষের আক্রমণে তটস্থ থাকা ভেনেজুয়েলাও সেভাবে গোলের সুযোগ
তৈরি তো দ‚রে থাকা, বল নিয়ন্ত্রণেই রাখতে পারছিল না। ফলে ১-০ গোলে জয় নিয়ে
স্কালোনির দল মাঠ ছাড়ে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর তারা মায়ামির মাঠে পুয়ের্তো
রিকোর বিপক্ষে লড়বে।
