
ইন্টারন্যাশনাল
লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) আজ এমআই এমিরেটসের জার্সিতে অভিষেক
হয়েছে সাকিব আল হাসানের। অভিষেকে ব্যাটিং-বোলিং দুই জায়গায়ই ব্যর্থ এই
অলরাউন্ডার। সাকিবের ব্যর্থতার পরও জিতেছে তার দল।
শারজাহ ওয়ারিয়র্সের
বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে
১৮৫ রান সংগ্রহ করে এমিরেটস। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১
রানের বেশি করতে পারেনি শারজাহ।
১৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো
হয়নি শারজাহর। ৪৮ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় তারা। তবে
মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত জুটি গড়েন সিকান্দার রাজা ও টম কোলেরক্যাডোমোর।
দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১০৩ রান। তারা যেভাবে এগোচ্ছিল তাতে
মনে হয়েছিল সহজেই জয় পাবে শারজাহ।
তবে ৬৪ রান করা রাজাকে ফেরানোর পর একই
ওভারে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকেও ফেরান গাজানফার। ডাবল উইকেট মেইডেন নিয়ে
সাকিবদের খেলায় ফেরান এই রহস্য স্পিনার। এরপর বাকি কাজটা সারেন পেসাররা।
শেষ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রোমারিও শেফার্ড।
সাকিব এদিন দুই ওভার বলিং করে ২৭ রান দিয়েছেন। কোনো উইকেটের দেখা পাননি।
এর
আগে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল এমিরেটস। দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্ট্রো ও
মোহাম্মদ ওয়াসিম দুর্দান্ত শুরু এনে দেন। ২৪ বলে ৩৭ রান করে বেয়ারস্ট্রো
সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। আরেক ওপেনার ওয়াসিম করেন ৩৯
রান।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নিকোলাস পুরান। ১২ বলে করেন ৫ রান।
৮৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন সাকিব। তবে ধীরগতির ব্যাটিং করেছেন
তিনি। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে উইকেটে সেট হলেও বড় শট খেলতে পারছিলেন না। ফলে
২ চারে ১২ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকার সময় সাকিবলে তুলে নেয় দল।
শেষদিকে
রোমারিও শেফার্ড দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। ১০ বলে করেন অপরাজিত ৩১ রান। এ
ছাড়া তাজিন্দার সিং ৮ বলে করেন ১৭ রান। তাতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় দল।
