বৈষম্যবিরোধী সমাজ গঠন - গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের সম্পূর্নভাবে ত্যাগ করে বাংলাদেশকে পুন:নির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান ও শপথের মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকল কর্মসূচিতে সসম্মানে স্মরন করা হয়েছে দেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের। পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়েছে বিভিন্ন এলাকায় শহিদ সমাধিতে৷ ৩৬ জুলাই (৫ আগষ্ট) ফ্যাসিবাদের পলায়ন ও নতুন বাংলাদেশ শুরু উদযাপনে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের উদ্যোগে বর্ণনাঢ্য রেলি বের করা হয়। এছাড়া দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে জুলাই শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
৫ আগষ্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত জুলাই সম্মিলন অনুষ্ঠানে শহিদ পরিবারের স্মৃতিচারণ, শহিদ ও আহতদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর সভাপতি কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, সিভিল সার্জন আলী নূর মোহাম্মদ বশির আহমেদ, জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগর এর সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টি কুমিল্লা জেলা সভাপতি সিরাজুল হক, জেলা যুগ্ম সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল হাসান, মহানগর যুগ্ম সমন্বয়ক মাসুমুল বারী কাওসার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২৪ এর জুলাই আগস্টে বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতা যেভাবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে অকাতরে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন- তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ৩৬ দিনের সে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি প্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার অবসান হয়েছে। এখন আমাদেরকে বৈষম্য বিরোধী সমাজ গঠনে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানকে পুঁজি করে কোনভাবেই মামলা বাণিজ্যে জড়ানো যাবে না। বন্ধ করতে হবে চাঁদাবাজির মত জঘন্য অপরাধ। সেই সাথে প্রতি তোর ফ্যাসিবাদের দোসরদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। তবে নির্মিত হবে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ। আর সেই বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এর আগে ৫ আগস্ট সকালে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার রামপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় জুলাই আগস্ট আন্দোলনের শহীদ মাসুমের কবর জিয়ারত করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। সময় কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে কুমিল্লা সদর উপজেলা বিএনপি, মহানগর জামায়াতে ইসলামী,জাতীয় নাগরিক পার্টি মহানগর ছাত্রশিবির র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
কুমিল্লা জেলার সদরের বাইরে ও প্রতিটি উপজেলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
