বিস্ময়করভাবে
আমাদের জানা ছিল না, শিশুদের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া যুদ্ধবিমান আমাদের
জীবনের অংশ। আমাদের জানা ছিল না-এই দেশে মৃত্যু পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা ঘটনা।
‘মাইলস্টোন হত্যাকাণ্ড’-এর সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের আবেগ, উৎসাহ, বিতর্ক,
বিস্ময়, দ্বন্দ্ব, মাতব্বরি নিয়ে হাজির হচ্ছি, যেন আমরা সব জানি।
অস্ত্র
ও যুদ্ধবাণিজ্যের দুনিয়ায় ‘মাইলস্টোন’ ঘটবেই, বারবার ঘটবে। প্রবল কাঠামোগত
বৈষম্য আর কর্তৃত্ববাদে ঠাসা নয়াউদারবাদী পৃথিবীতে ‘মাইলস্টোন’ পুড়ে ছাই
হবে-এটা কোনো গোপন কথা নয়। আমরা এসব জানি, মুখস্থ করে রেখেছি।
জন্ম
থেকেই এই নয়াউদারবাদী যুদ্ধ-দুনিয়া আমাদের এসব মুখস্থ করিয়ে দিয়েছে। কোনো
ভণিতা, মিথ্যাচার, সাজানো গল্প কিংবা মুখোশ দিয়ে আমরা আমাদের দায় বা দাগ
আড়াল করতে পারি না। পৃথিবীতে অস্ত্রের কারখানা থাকবে। যুদ্ধবিমান আকাশে
উড়বে আর আমরা আশা করব, শিশুদের জন্য ফুল বিছানো শান্তির বিদ্যালয়?
যতদিন
পৃথিবীতে অন্যায়, অস্ত্র ও যুদ্ধবাণিজ্য টিকে থাকবে, ততদিন পৃথিবীর কোথাও
না কোথাও নিদারুণ ‘মাইলস্টোন’ ঘটতেই থাকবে। কেবল পুরনো ভাঙারি বিমান,
দুর্নীতি, রাজনৈতিক ক্ষমতার দখলদারি, অদক্ষতা ইত্যাদির দোহাই দিয়ে
‘মাইলস্টোন’ ঠেকানো যাবে না। ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধকে বিদায় জানাতে হবে।
নয়তো
অন্য কোনো যুদ্ধবিমান জবরদস্তি করে চুরমার করে দেবে ফিলিস্তিনের কোনো
‘মাইলস্টোন’, কিংবা প্রশিক্ষণরত কোনো যুদ্ধবিমান আছড়ে পড়বে বাংলাদেশের কোনো
স্কুলে, গুঁড়িয়ে দেবে একেকটি ‘মাইলস্টোন’। হয়তো প্রতিটি ঘটনায় আমাদের
বিশ্লেষণ, প্রতিক্রিয়া ও অবস্থান ভিন্ন হবে-একটিকে বলা হবে ‘দুর্ঘটনা’,
অন্যটিকে ‘অন্যায় যুদ্ধ’। কিন্তু প্রতিটি নির্মম ঘটনার গভীরে লুকিয়ে থাকে
নজিরবিহীন, অমীমাংসিত যুদ্ধবাণিজ্যের ছায়া।
যেসব প্রবল ন্যারেটিভ,
কর্তৃত্ববাদ ও ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার এই সব যুদ্ধকে বৈধতা দেয়, সেগুলোই
‘মাইলস্টোন হত্যাকাণ্ড’-এর জন্য দায়ী। এটি একপ্রকার কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড-যে
কাঠামো রাষ্ট্রচিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শুরু করে উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও
নিরাপত্তা-সবকিছুকেই যুদ্ধবাণিজ্যের মোড়কে বৈধ করে তোলে। এই কাঠামো
সামরিক-অর্থনীতি ও কর্তৃত্ববাদের পক্ষে সহমত ও সম্মতি উৎপাদন করে।
পৃথিবীতে
দিনরাত বারুদ, বন্দুক কিংবা যুদ্ধবিমান তৈরি হবে-আর সেগুলোর কোনো ব্যবহার
থাকবে না, এমনটা কি সম্ভব? কারও না কারও বুকের ওপর বন্দুক তাক করবেই, কারও
না কারও মাটি নিশ্চয় বারুদের আগুনে ঝলসে যাবে। কোনো না কোনো ‘মাইলস্টোন’-এর
ওপর দিয়েই উড়বে সেই যুদ্ধবিমান।
যেখানে তাক করা আর ওড়ার বৈধতা আছে,
সেখানে বারুদ বা বিমান কোথাও ভেঙে পড়বে না-এই নিশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারে?
এটি কি কেবল মেয়াদোত্তীর্ণ ভাঙারি বিমান, পাইলটের দক্ষতা বা
কেনাকাটা-ব্যবস্থাপনার দুর্নীতির প্রশ্ন? ‘মাইলস্টোন’-এর দগ্ধ, অঙ্গার হয়ে
যাওয়া শরীর শুধু পরিসংখ্যান নয়, তা বহন করে এক শোকের অভিঘাত, যা সহজে নেওয়া
যায় না।
যদিও আমাদের এসব হজম করতেই শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিমতলীর
রাসায়নিক গুদাম, তাজরীন গার্মেন্টস, সেজান জুস কারখানা, সীতাকুণ্ডের বিএম
ডিপো কিংবা সীমা অক্সিজেন-আমরা কত অবলীলায় হজম করে বসে আছি! নির্বিকারভাবে।
কিন্তু
‘মাইলস্টোন’-এর ঘটনায় দশদিক, দশপ্রান্তের সবাই ক্ষুব্ধ, ছলছল, রুদ্ধ এবং
দ্রোহীও বটে। সবাই আজ শোক জানাচ্ছে। রাষ্ট্রও শোকবার্তা দিয়ে বলেছে,
‘বাংলাদেশ শোকস্তব্ধ’।
‘মাইলস্টোন’-এর অঙ্গার আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়
সেজান জুস কারখানার দগ্ধ বিস্মৃতিকে-যেখানে শিশু শ্রমিকরা পুড়ে গলে
গিয়েছিল। বের হওয়ার কোনো পথ ছিল না ওই শিশুদের। কিংবা তাজরীন
গার্মেন্টস-পোড়া জিন্দা লাশের গন্ধ অনেকদিন ভেসে বেড়িয়েছিল আশুলিয়ার
বাতাসে। সেই ঘটনায় রাষ্ট্র কোনো শোকবার্তা দেয়নি। নাগরিক সমাজও খুব বেশি
ছলছল ছিল না।
তবু আজ আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই-আমরা আর কোনো ‘মাইলস্টোন’ চাই না, এই পৃথিবীর কোথাও।
এর
মৌলিক সমাধান একটাই-পৃথিবীর অস্ত্র ও যুদ্ধবাণিজ্যকে সমূলে বন্ধ করতে হবে।
এই সিদ্ধান্ত ও অবস্থান শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয়, বরং বিশ্বের প্রতিটি
রাষ্ট্রকে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।
একইসঙ্গে
‘মাইলস্টোন হত্যাকাণ্ড’-এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, ন্যায়বিচার এবং নিহত ও আহতদের
সম্মানজনক পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে রাষ্ট্রকে আজীবন দায় নিতে হবে।
কিন্তু
এই মুহূর্তে, যখন ‘মাইলস্টোন’ বা গাজার দগ্ধ পাখিরা হাসপাতালে তড়পাচ্ছে,
তখন কি আমরা রাস্তায় যুদ্ধবিরোধী মিছিল নিয়ে নামব? এখনই নয়। এই মুহূর্তে
আমাদের দরকার চিকিৎসা। নিহত ও আহত শিশুদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। যত দ্রুত
সম্ভব, স্কুলটিকে আবারও প্রাণবন্ত করে তোলা।
নিহত ও আহতদের তালিকা ঘিরে
বিতর্ক, লাশ গুম, নানাবিধ ষড়যন্ত্রতত্ত্ব এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে
ডিজিটাল কনটেন্ট ও ভিউ বাণিজ্যের ব্যবসা হয়তো চলবে কিছুদিন। কিন্তু বেঁচে
থাকা শিশুদের জীবনকে নিরাপদ করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ সময় ও সহযোগিতা এখন
জরুরি।
সকল স্তরে এবং বলয়ে এখন দায়িত্বশীল হওয়ার বিকল্প নেই। তবে আমরা
যেন কোনোভাবেই নয়াউদারবাদী ব্যবস্থার এই কাঠামোগত বৈষম্য ও কর্তৃত্ববাদের
বয়ান হারিয়ে না ফেলি কিংবা আবারও বরাবরের মতো বিস্মৃত না হই। আমাদের দাহ
এবং দ্রোহ যেন যুদ্ধ এবং সামরিক-অর্থনীতির ক্ষমতা ও কর্তৃত্ববাদের বলয়কে
প্রশ্ন করবার ধার ও দ্বার সর্বদা উন্মুক্ত রাখে।
দগ্ধ ‘মাইলস্টোন’ আবারও
আমাদের সামনে বহু অমীমাংসিত প্রশ্ন এবং বার্তা হাজির করেছে। প্রশ্ন
উঠেছে-‘জনবহুল’ এলাকায় কোনো যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ মহড়া আদৌ কি হতে পারে?
নগরপরিকল্পনা
নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একইসঙ্গে যেখানে শিশুদের খেলার মাঠ থাকার কথা, সেখানে
যদি যুদ্ধের মহড়া চলে-তাহলে সেই বিশৃঙ্খল পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা কতটা?
এছাড়া
‘জনবহুল’ বলতে অধিকাংশ তাত্ত্বিক ও বিতার্কিকরা আবারও এক ধরনের বাইনারি
সামনে আনছেন, যার ভেতরে ঘুমিয়ে আছে সহিংসতা ও বৈষম্য। অনেকে মনে করছেন,
ঢাকার বাইরের অঞ্চল ‘জনবহুল’ নয় এবং যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণের জন্য তাই
বেশি নিরাপদ। কিন্তু কেন ঢাকার বাইরের অঞ্চল ‘প্রাণহীন’ বা
‘অগুরুত্বপূর্ণ’?
ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ একটি ছোট্ট দেশ। এখানে এমন কোনো
এলাকা নেই-পাহাড়, চর, হাওর, বিল-যেখানে জনবসতি ও প্রাণপ্রকৃতির সংসার নেই।
দেশের প্রতিটি অঞ্চলে, যেখানে নিয়মিত যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ ও মহড়া চলে,
সেখানেও ঘটে নানা ঘটনা, যা নাগরিক বলয়ের আলোচনায় আসে না।
উদাহরণস্বরূপ,
মধুপুর শালবনে ‘রাজবাড়ি’ নামের এক প্রাচীন মান্দি গ্রাম উচ্ছেদ করে বিমান
বাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জ স্থাপন করা হয়। সংরক্ষিত শালবনের এই রেঞ্জ প্রতিনিয়ত
বন্যপ্রাণী ও প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই প্রশ্ন
উঠেছে-যুদ্ধ প্রশিক্ষণ ও মহড়ার জন্য আদৌ কি আমাদের উপযুক্ত কোনো জায়গা আছে?
যেখানে মানুষের বসতি না থাকলেও বন্যপ্রাণী, বৃক্ষ, পাখি কিংবা অণুজীবেরা
তো আছে।
এই সমস্যা কেবল বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের সর্বত্রই প্রায় একই।
তাহলে এই আজকের পৃথিবীতে আমরা যুদ্ধ করব কেন? অস্ত্র কোম্পানির বন্দুক,
বারুদ, বিমান ও বিভিন্ন সামরিক পণ্যের ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনে? শুধু
মুনাফা চাঙা রাখার জন্য? আর সেই যুদ্ধকে বৈধতা দিতে নানা মহাজন
প্রস্তুত-সংঘ, সংগঠন, এজেন্সি, মিডিয়া থেকে শুরু করে একাধিক রাষ্ট্রপক্ষ।
তাহলে
যুদ্ধাস্ত্র তৈরি হবে, তার মহড়া হবে, এবং অবধারিতভাবেই তা ব্যবহৃতও হবে।
তাহলে কেন কোনো না কোনো ‘মাইলস্টোন’ এই যুদ্ধংদেহী কর্তৃত্ববাদের নির্মম
আগুনে অঙ্গার হবে না?
এই নয়াউদারবাদী ব্যবস্থায় আমাদের পন্থা ও পরিধি
কী? শুধুই কি রানা প্লাজা, সেজান কারখানা কিংবা মাইলস্টোন কলেজ? না, আমরা
প্রতিনিয়ত হারিয়ে ফেলি একেকজন রাইসা মনিকে, উক্যচিংকে, আরিয়ানকে, শাবুজাকে,
মাহেরীনকে, শিখাকে, স্বপ্নাকে কিংবা মিনাকে।
আমাদের বিদ্যালয় ও
কর্মক্ষেত্র নিরাপদ নয়। আমরা পড়ালেখা করতে যাই বা কারখানায় কাজ করতে
যাই-যেকোনো মুহূর্তে বেঘোরে প্রাণ হারাতে পারি। অথচ এসব নিদারুণ মৃত্যুর
মিছিল আমাদের সামনে কোনো বার্তা হাজির করে না। আমরা কোনো শিক্ষা নেই না।
আমরা যেন শোকেও নিরুত্তাপ।
রাষ্ট্র কী ব্যবস্থা নিয়েছে আমাদের জীবন ও
চারপাশকে নিরাপদ রাখতে? আমাদের নিরাপত্তাকে আমরা ‘যুদ্ধংদেহী’ মনোভাব ও
কর্তৃত্ব দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছি। আর এই নিরাপত্তার বলয়ের নামে আমরা
অস্ত্রবাণিজ্য ও যুদ্ধের প্রতি প্রতিনিয়ত সম্মতি উৎপাদন করে চলেছি।
আজকের
দিনের রাষ্ট্র বা নাগরিক নিরাপত্তা-তা আর কোনোভাবেই বারুদ বা যুদ্ধবিমান
দিয়ে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। পৃথিবীজুড়ে এখন ভৌগোলিক সীমানা ছাপিয়ে তৈরি
হচ্ছে বহুমুখী সাইবার বলয় ও ডিজিটাল সীমান্ত। গড়ে উঠছে এক নতুন
সাইবার-উপনিবেশ।
গবেষণা ও বায়োপ্রসপেক্টিংয়ের নামে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে জৈব-চুরি-বায়োপাইরেসি ও জিনপাইরেসি। এরাও একেকটি আধুনিক ঔপনিবেশিক হাতিয়ার।
যখন
যুদ্ধবিমান প্রশ্নহীনভাবে মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে ‘বাড়ির কাজের’ খাতার
ওপর আছড়ে পড়ে-সবকিছু দগ্ধ করে দেয়, তখন নিরাপত্তা, ক্ষমতা, আধিপত্য ও
দখলদারিত্বের বহুমাত্রিক প্রশ্ন অঙ্গারের ছাই ছাপিয়ে আমাদের সামনে জেগে
ওঠে।
আমরা পোকামাকড় মারার জন্য বিষ উৎপাদন করেছি। স্প্রে মেশিনের আওয়াজে
যখন ধানজমিতে বিষ ছড়ানো হয়, তখন একেকটি মাঠ যেন যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠে।
আমরা যেন শুধু ধ্বংসে মগ্ন-হত্যা করতে চাই, হারাতে চাই, হন্যে হয়ে উঠি।
মাইলস্টোন
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ভাঙারি যুদ্ধবিমান নিয়ে কথা উঠেছে। বাতিল, দুর্নীতি,
অব্যবস্থাপনার আলাপ চলছে। কিন্তু সবকিছুই যেন এক বাজারি ন্যারেটিভে আটকে
যাচ্ছে।
এই বাজারি গল্পের বিপরীতে আমাদের দরকার সাহসী ইতিহাসচেতনার
পুনর্জাগরণ। মাইলস্টোনের ন্যায্যতা আদায়ে আমাদের তেভাগা আন্দোলন,
মুক্তিযুদ্ধ, কিংবা জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের ন্যারেটিভকে জারি রাখা জরুরি।
পুড়ে
যাওয়া চামড়া, হাড়, বই, খাতা, জ্যামিতি বক্স কিংবা ব্যাগের স্তূপ থেকে টেনে
আনতে হবে লকহিড মার্টিন, বোয়িং, বিএই সিস্টেমস, নর্থথ্রুপ গ্রুম্যান কিংবা
জেনারেল ডিনামিক্সের মতো যুদ্ধাস্ত্র কোম্পানিগুলোর মুখোশ। এই হত্যার দায় ও
বাহাদুরি তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে জনগণের ভাষায়, নাগরিক প্রশ্নে।
কোনো
যুদ্ধবিমান নয়-মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাক পড়ন্ত মেঘের দল, প্রজাপতি, পাখি বা
পংখীরাজ স্বপ্ন। এই এক বিঘত নিশ্চয়তা রাষ্ট্র চাইলে দিতেই পারে।
পাভেল পার্থ ঃ লেখকও গবেষক