কুমিল্লা প্রতিনিধি : ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী মো. মাহতাব রহমান ভূঁইয়া আর বেঁচে নেই। চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে বাবা মায়ের বুক খালি করে বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে মাহতাব । মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাহতাবের বড় চাচা মো. মিজানুর রহমান ও ছোট মামা মো. রাকিবুল ইসলাম।
জানা গেছে, মাহতাব রহমান ভূঁইয়া (১৫) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়ির মো. মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে। তাঁরা ঢাকার উত্তরায় একটি বাসায় থাকেন। সে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ইংলিশ ভার্সনের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলো।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার আইসিইউর (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ১১ নং বেডে চিকিৎসাধীন ছিলো মাহতাব। অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন মাহতাব বুধবার রাতে চোখে খুলে নিজে নিজে নি:শ্বাস নিয়েছিলো বলে জানিয়েছিলেন তার বড় মামা মহিবুল হাসান শামীম। কিন্তু তারপর তিনি দুপুরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। দুর্ঘটনায় মাহতাব রহমানের প্রায় ৭০শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাহাতাবের মামা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ভাগিনাকে আর বাঁচানো যায়নি, ২ টার দিকে তার মৃুত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই ।
মারা যাওয়ার মাহাতাবের মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এদিন রাতেই জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
তার মরদেহ সন্ধ্যয় ৭টা ১৫মিনিটের দিকে কুমিল্লার দেবিদ্বারে গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। রাত পৌনে ১০ টার দিকে উপজেলার চুলাশ-উখারী বাজার শাহী ঈদগাঁহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। সন্ধা ৭ টার দিকে ঢাকা থেকে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌছে। বিকালে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার শোকার্ত লোকজন বাড়িতে ভীড় করছে। রাতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাহতাবের নামাজে জানাজায় স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন অংশ নেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান। ছেলের জানাজা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মাহতাবের বাবা মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া। ছেলে রুহের মাগফেরাত কামনা করে তিনি সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।