সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫
৬ শ্রাবণ ১৪৩২
পলাতক বন্দিরা হুমকির কারণ
প্রকাশ: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ১:৫২ এএম |

পলাতক বন্দিরা হুমকির কারণ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময়ে গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে দেশের ১৭টি কারাগারে বাইরে থেকে হামলা হয়। একই সময়ে কারাগারের ভেতরেও বন্দিদের বিদ্রোহের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় অনেক দুর্ধর্ষ জঙ্গি, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ অনেক বন্দি পালিয়ে যান। অনেক আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়।
জানা যায়, কেবল নরসিংদী কারাগার থেকেই ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ জন বন্দি পালিয়ে যান এবং লুট করা হয় ৮৫টি অস্ত্র ও প্রচুর গুলি। এখনো ৭০০ জন বন্দি পলাতক রয়েছেন বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে খুবই নাজুক। ডাকাতি, ছিনতাইসহ তুচ্ছ ঘটনায়ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে।
শুধু জেলখানা নয়, সে সময় থানা, পুলিশ ফাঁড়ি থেকেও অনেক আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়েছে। লুট হওয়া অনেক আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি। ধারণা করা হয়, তার একটি বড় অংশই অপরাধীদের হাতে রয়েছে। আর বর্তমানে দেশে সক্রিয় অপরাধীদের সঙ্গে জেল পলাতক অপরাধীরাও রয়েছে।
কারা সূত্র জানায়, আন্দোলনের সময় হামলা ও বিক্ষোভের ঘটনায় আক্রান্ত ১৭টি কারাগারের মধ্যে আটটি কারাগার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর পাঁচটি কারাগার থেকেই দুই হাজারের বেশি বন্দি পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে জঙ্গি ও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯৮ জন বন্দি রয়েছেন। বন্দিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা গুলিও চালিয়েছিলেন। এতে গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি ও জামালপুর কারাগারে ১৩ জন বন্দি নিহত হন। কিন্তু তবু পলাতক বন্দিদের আটকানো যায়নি।
অনেক কারাগারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। শুধু নরসিংদী কারাগারেই পুড়ে যায় ২৯ হাজার নথিপত্র। নানা ধরনের অস্ত্র নিয়েও হামলা চালানো হয়। কারাগারগুলোর নিরাপত্তা ভেঙে পড়ে। এ সময় ১৭টি কারাগারে ২৮২ জন কারারক্ষী আহত হন।
প্রতিনিয়ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই ঘটছে বহু খুনের ঘটনা। সেই সঙ্গে বেড়েছে ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি, এমনকি ঘটছে অনেক নৃশংস ঘটনা। বেড়েছে হুমকি-ধমকি ও চাঁদাবাজির ঘটনা। পথেঘাটে মানুষ যেমন নিরাপত্তাহীন, তেমনি নিরাপত্তাহীন নিজের বাসার ভেতরেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় বৈঠক করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। চলছে যৌথ অভিযান। নেওয়া হচ্ছে নানামুখী পদক্ষেপ, কিন্তু পরিস্থিতি সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অর্থ সমাজে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। তাঁদের মতে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীগুলোর ব্যর্থতার কারণেই মূলত এসব ঘটছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করে জনমনে শান্তি ফেরাতে হবে।
সামনে নির্বাচন আসছে। এখনই যদি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, সামনে তা আরো ভয়ংকর রূপ নিতে পারে। তাই সারা দেশে পুলিশি কর্মকাণ্ড আরো জোরদার করতে হবে। গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে আরো কার্যকর করতে হবে। অস্ত্র উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। জেল পলাতক সব আসামিকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি লুট হওয়া প্রতিটি অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। সোজা কথা, যেকোনো মূল্যে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।













http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
রফিকুল ইসলামের ম্যুরাল সংস্কার করলো জেলা প্রশাসন
শতবর্ষী তালগাছ কেটে বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা হত্যার অভিযোগ
১৮৯ বছরে কুমিল্লা জিলা স্কুল
গোপালগঞ্জে কারফিউ ও১৪৪ ধারা প্রত্যাহার
এনসিপির কুমিল্লা মহানগর সমন্বয় কমিটি অনুমোদিত
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
১৮৯ বছরে কুমিল্লা জিলা স্কুল
এসএসসিতে ভালো ফল অজর্ন করা তিন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
গোল্ডেন এপ্লাস প্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিলো কুমিল্লা ত্রিশূল গীতা শিক্ষালয়
নির্বাচন নিয়ে কোন অনিশ্চয়তা নেই
আওয়ামী লীগ ‘গন কেস ’: তাহের
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২