শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২
চৌদ্দগ্রামে অটোরিকশা চালক হত্যাররহস্য উদঘাটন
ছিনতাই হওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে হত্যকারী আটক
মোঃ এমদাদ উল্যাহ
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ১:৫১ এএম আপডেট: ১৮.০৭.২০২৫ ২:১২ এএম |





ছিনতাই হওয়া মোবাইলের  সূত্র ধরে হত্যকারী আটককুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে বন্ধুর পরামর্শে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালককে হত্যার ঘটনার দুই সপ্তাহ পর ছিনতাই হওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে মূল হত্যাকারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃত হত্যাকারী মোঃ রিফাত আদালতে জবানবন্দির মাধ্যমে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ। 
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে মুন্সিরহাট ইউনিয়নের নাঙ্গুলিয়া খালের লক্ষীপুর কালভার্টের নিচে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ পাওয়া যায়। লাশের বিভিন্নস্থানে দামা দিয়ে কুপানোর চিহ্ন ছিল। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পৌর এলাকার পূর্ব চান্দিশকরা গ্রামের ভাড়াটিয়া খায়রুল ইসলাম লাশটি তার মেজো ছেলে তাফরুল ইসলাম সৈকতের বলে নিশ্চিত করে। তাদের বাড়ি রংপুর জেলার গঙ্গাছড়া থানার চর ইশ^রকাল গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার ও ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের পিতা খায়রুল ইসলাম। মামলা দায়েরের পর কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোঃ নাজির আহম্মেদ খানের দিক-নির্দেশনায় ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ আসামীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম বুধবার দিবাগত রাতে কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইল থেকে ওই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ও পৌর এলাকায় ভিকটিমের পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ রিফাত(২৮) কে আটক করে। পরে তাঁর দেহ তল্লাশী করে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করে। আসামীকে গ্রেফতার পরবর্তী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম তাফরুল ইসলাম সৈকতকে খুন করার কথা স্বীকার করে এবং বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করে। 
আদালতে জবানবন্দিতে আসামী রিফাত আরও জানায়, সে অটোরিকশা প্রকাশ মিশুক চালায়। সে ভিকটিমের ভাড়া বাসায় বসবাস করে। ভিকটিম আসামীর ছোট ভাইয়ের মতো এবং সেও মিশুক চালায়। আসামী একটি মিশুক কিনেছিল কর্জ করে এবং কিস্তি পরিশোধ করা লাগে। এছাড়াও আসামীর আরো ঋণ ছিল। আসামী তার কিস্তি এবং ঋণের বিষয় নিয়ে তার দুইজন বন্ধুর সাথে (তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না) শেয়ার করে। আসামী তার বন্ধুদের সাথে মাঝে মধ্যে মাদক সেবন করিত এবং ভিকটিমও তাদের সাথে মাদক সেবন করিত। আসামী তার বন্ধুদের প্ররোচনায় একজন মিশুক ড্রাইভারকে খুন করে মিশুক বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় তার পূর্ব পরিচিত ভিকটিম তাফরুল ইসলাম সৈকতকে নিয়ে গত ২ জুলাই রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকায় সময় ভিকটিমের মিশুক নিয়ে নাঙ্গলিয়া খাল এলাকায় গিয়ে বসে অনেক্ষণ গল্প করে এবং একপর্যায়ে আসামী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলের পাশে লুকিয়ে রাখা ধামা দিয়ে ভিকটিমের মাথায় পিছন থেকে আঘাত করলে ভিকটিম কালভার্টের উপর পড়ে যায়। আসামী ভিকটিমকে আরো ৫-৬ টি কুপ মারিয়া মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিমের সাথে থাকা মোবাইল, নগদ টাকা এবং মিশুকের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে মরদেহ কালভার্টের নিচে ফেলে দিয়ে মিশুক নিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রযুক্তি সহায়তায় অটোরিকশা চালকের হত্যাকারী রিফাতকে আটক করা হয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তৎপর ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে’। 













http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
গোপালগঞ্জে কারফিউর সময় বাড়ল
ইনকিলাব মঞ্চ কুমিল্লার লিফলেট বিতরণ
যাত্রীর ফেলে যাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন ইজিবাইক চালক
বুড়িচংয়ে শহীদদের স্মরণে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় কুবির ১২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
ভিক্টোরিয়ায় ফিরলেন অধ্যক্ষ আবুল বাশার
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
কারফিউয়ের গোপালগঞ্জে থমথমে রাত
গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় মহাসড়ক অবরোধ
যাত্রীর ফেলে যাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন ইজিবাইক চালক
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২