গোপালগঞ্জে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহর
হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির
নেতা-কর্মীরা। তাদের এই অবরোধ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরাও।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল
৫টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় আধা
ঘন্টারও বেশি সময় সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ
যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে শত শত যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কার।
দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন,
গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো
হয় এনসিপি নেতাদের ওপর। যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে
মহাসড়ক ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হয়।
কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক
মাজহারুল ইসলাম হানিফ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহবায়ক
সাকিব হোসেন, কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক আবু রায়হান, সদস্য সচিব রাশেদুল
হাসান, মহানগরীর সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন মুহাম্মদ রুবেল, ইনকিলাব মঞ্চ ও
এবি পার্টির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সামদানী, এনসিপি নেতা মাসুমুল বারী
কাওসার, কাজী জায়েদ, ইমপা ফারহা, জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক উইংসের জেলা
আহ্বায়ক ফজলে এলাহী রুবেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম
হানিফ সাংবাদিকদের বলেন,অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের মহানায়কদের নিরাপত্তা
দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে এনসিপি নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে
নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলন কুমিল্লা জেলা শাখা আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, কুমিল্লা
থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের বীজ বপণ হয়েছিল। কুমিল্লা থেকেই
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করা হবে। যদি প্রয়োজন পড়ে আমরাও গোপালগঞ্জ যেতে
প্রস্তুত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরীর আহবায়ক আবু
রায়হান বলেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণভাবে
সমাবেশ শেষ করে ফেরার পথে নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। এ
প্রতিবাদে আমারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিলাম। আধা ঘন্টারও বেশি
সময় অবরোধ করার পরে আমরা জানতে পারি আমাদের নেতৃবৃন্দ নিরাপদে সেখান থেকে
সরে এসেছেন, তাই আমরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছি।