কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২
শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত
শিক্ষার্থীরা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের
শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড.
আব্দুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দুই বিভাগের ১২
জন শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও বহিষ্কৃত
শিক্ষার্থীরা আজীবন হলে থাকতে পারবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার
দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, র্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত শেষে ২০২৩-২৪ সেশনের
মার্কেটিং বিভাগের ৭ জন ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের এক সেমিস্টারের জন্য
বহিষ্কার করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.
মো. আনোয়ার হোসেন (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, 'তদন্ত কমিটির রিপোর্টের
ভিত্তিতে দুই বিভাগের ১২ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাদেরকে
আজীবনের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের
অবিভাবক, বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র-উপদেষ্টা মুচলেকা দিবেন। আগামী রবিবার
আমরা তাদের নাম অফিসিয়ালি পাবলিশ করবো।
প্রসঙ্গত, মার্কেটিং বিভাগের
স্নাতক প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে র্যাগ
দেওয়ার অভিযোগ উঠে ২০২৩-২৪ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বিভাগে অভিযোগ করেন।
জানা যায়,
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রথম ক্লাস করতে
বিভাগে আসেন। তখন ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীরা
তাদের র্যাগ দেয়। র্যাগিংয়ের সময় অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ বেঞ্চের ওপর
দাঁড় করিয়ে রাখা হয় শিক্ষার্থীদের। এসময় জুনিয়র এক শিক্ষার্থী ঠিকমতো পরিচয়
দিতে না পারলে তাকে থাপ্পড় দিয়ে ‘আমরা তোদের বাপ লাগি’ বলে গালি দেন
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শয়ন দাস । আরেক শিক্ষার্থীর শার্টের হাতা
ভাজ করা কেন বলে তার শার্টের হাতা ধরে হ্যাচকা টান দিলে ভুক্তভোগী
শিক্ষার্থীর হাতের ডায়ালাইসিসের ক্যানোলা খুলে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী
ডায়ালাইসিসের রোগী। তার কিডনি পরিবর্তন করতে হবে।