কুমিল্লার
বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল গ্রামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত
২৮জন শিক্ষককে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায় ও গুরুজন সম্মাননা
জানিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৫ জুলাই) বাকশীমূল উচ্চ
বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব শিক্ষকদের এ সম্মান জানানো
হয়। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল প্রামাণ্যচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, আলোচনা
সভা এবং বিদায়ী শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন। যৌথভাবে অনুষ্ঠান
পরিচালনা করেন প্রাক্তন ছাত্র আল-আমিন, প্রভাষক ইমাম হোসেন, অ্যাডভোকেট
জাকারিয়া ইউনুস এবং প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মারুফ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, বাকশীমূল উচ্চ বিদ্যালয়ের
সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবু তাহের। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট নাজমুল
হুদা সোহাগ।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাকশীমূল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক মো. সফিকুল ইসলাম, বাকশীমূল ইসলামিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার
অধ্যক্ষ মাওলানা মফিজুল ইসলাম, বাকশীমূল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক ইউনুস স্বপন, দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং বাকশীমূল উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক মোর্শেদা বেগম।
প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন
প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন, প্রভাষক ইমাম হোসেন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী
আল-আমিন। গুরুজন শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লায়লা নূর চৌধুরী ও দিলীপ
চন্দ্র মজুমদার।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বাকশীমূল উচ্চ বিদ্যালয়, ইসলামিয়া
সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন
শিক্ষকতা করে শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোর পথ দেখিয়েছেন। তাঁদেরই অনেকে আজ
সরকারি উচ্চ পদে, কেউ জনপ্রতিনিধি, কেউবা খ্যাতনামা ব্যবসায়ী। জীবনের নানা
পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা এই শিক্ষকদের সম্মান জানাতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এমন
এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুসজ্জিত একাধিক ঘোড়ার
গাড়িতে শিক্ষকদের বসানো হয় এবং তাদের সম্মানে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা
বের হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ফুল ছিটিয়ে ও মালা পরিয়ে রাজকীয়ভাবে
বিদায় জানান। এ দৃশ্য দেখে স্থানীয় এলাকাবাসীও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
বিদায়ী
শিক্ষকরা তাঁদের বক্তব্যে স্মৃতিচারণ করেন এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতের জন্য সকলকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার
আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের
সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ওবায়দুস সোবহান মামুন সাঈদী।