মাসুদ পারভেজ।।
কুমিল্লার
গোবিন্দপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কিশোর গ্যাং সদস্য, চাঁদাবাজ এবং একটি
ডাবল মার্ডার মামলার পলাতক আসামীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার
(৪ জুলাই) বিকেলে বিএনপি-সমর্থিত আরমান ও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বাবলুর
অনুসারীদের মধ্যে প্রথম দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আরমান আহত হলে তিনি
থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করলে উভয় পক্ষ
পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে বাবলু পক্ষের লোকজন ৪ থেকে ৫টি
ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে বলে স্থানীয়রা জানায়।
পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে আনতে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চায়। রাত
১০টার দিকে কুমিল্লা আদর্শ সদর সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালায়। গোবিন্দপুরের
রামমালা এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চালিয়ে ৫জনকে আটক করে।
অভিযানে আটক হওয়া পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন দুইজন কিশোর গ্যাং সদস্য, দুইজন চাঁদাবাজ এবং একজন হত্যা মামলার আসামী।
তাদের
একজন, কবির আহম্মেদ (৪২), গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় তিতাস
উপজেলা অফিসের সার্ভেয়ার। তিনি ২০১০ সালের একটি ডাবল মার্ডার মামলার পলাতক
আসামী এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দায়েরকৃত একটি মামলারও এজাহারভুক্ত আসামী।
আটককৃতদের
তালিকায় আরও রয়েছেন সাইদুল ইসলাম জীবন (১৮), সদর দক্ষিণ উপজেলার
শ্রীমন্ডপুর এলাকার বাসিন্দা, যিনি একটি কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য বলে
পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে ইসমাইল হোসেন অভি (১৬) নামের আরও
এক কিশোর, যিনি একই এলাকার আরেকটি গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে পরিচিত।
অভিযানে
আটক অপর দুইজন হলেন-আবির আহম্মেদ (৩৮) এবং মাখু মিয়া (৪৫)। উভয়েই
গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজি ও প্রভাব বিস্তারের
সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।
আটককৃতদের কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর
করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
রয়েছে এবং গোটা ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত আছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক সহিংসতা ও সন্ত্রাস দমনে এমন অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে।