শাহীন আলম ।।
আগামী
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনের মাঠ দাবিয়ে বেড়াচ্ছেন
বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা, যে যার অনুসারী তাকে নিয়ে মাঠ গুছানো প্রস্তুতি
চলছে, কেহ উন্নয়ননের কথা,কেহ দারিদ্র্য দূরীকরণ, বেকারত্ব, শিক্ষা
ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট উন্নতি করনসহ নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতি ওয়ার্ড
ইউনিয়ন এবং পাড়ায় মহল্লায় নির্বাচনের প্রচারণায় চালিয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লা-৪,
দেবিদ্বার সংসদীয় আসনে এবার এক নতুন মুখ দেখতে পাবে বলে এরকম আভাস জনগণের
মধ্য শুনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে বিএনপির দুর্দিনের কান্ডারী, ফ্যাসিস্ট
শাসকের আমলে ইউরোপের মাটিতে, যিনি মানবতা সুশাসন গুম খুন এবং স্বৈরশাসনের
সকল অপকর্মের নীল নকশা তুলে ধরে অগ্রহণী ভূমিকা পালন করেন একজন সচ্ছ উদার
রাজনীতিবিদ শিক্ষা দীক্ষায় নম্র ভদ্রতার দেবিদ্বারের সাধারণ জনগণের মুখে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে যার নাম শুনা যাচ্ছে, তিনি হলে সাইদুর রহমান লিটন
সরকার, দেবিদ্বারের সাধারণ জনগণ থেকে এবারের ভোটে ব্যাপারে মতামত জানতে
চাইলে তারা বলেন, সাইদুর রহমান লিটন সরকার একজন সৎ নিষ্ঠাবান নীতি আদর্শবান
অহংকার মুক্ত মানুষ, তিনি বিএনপি থেকে নির্বাচন করলে দেবিদ্বার বাসী একজন
ভালো ও যোগ্য নেতার আবির্ভাব দেখতে পাবে, তারা বলে তিনি এতো বছর নির্বাচন
করেনি তবুও এলাকার সাধারণ জনগণ বিভিন্ন সমস্যায় পড়লে ফোন করে খুজ খবর
নিতেন, কখন কার কি সমস্যা এইসব জিজ্ঞেস করতেন, এরকম একজন ভালো মানুষ
দেবিদ্বারের এমপি হলে দেবিদ্বারের সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে বলে তার দলীয়
মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। তিনি তার নেতা কর্মী নিয়ে বৈঠক কালে একজন নেতা তাকে
প্রশ্ন করেন
মাদকের বিরুদ্ধে আপনার অভিমত কি? উত্তরে তিনি বলেন! শুধু
মাদক নয়! দলীয় মনোনয়ন পেলে, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিবেন, টেন্ডার,
চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে
এইসব নিরসনের আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। বিগত দিনে যারা মনোনয়ন পেয়ে দলীয়
এমপি হওয়ার পর এগুলো মনে রাখেনি, কিন্তু আমার মধ্যে এ ব্যপারে ভিন্নতা
দেখতে পাবেন, আমি কথায় নয় কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দিতে চাই, তিনি বলেন
দেবিদ্বারের জনগণ এবং আপনারা নেতাকর্মীরা যদি পাশে থাকেন, প্রতিক্ষেত্রে
বিচক্ষণতার পরিচয় দেবো তা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। সাইদুর রহমান সরকার
লিটন এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় : তাঁর ৪ ভাই ৪ বোন। ভাইদের মধ্যে তিনি সবার বড়।
সবাই বেলজিয়াম প্রবাসি, বাবা একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন (মৃত)। মাতা -গৃহিণী
(মৃত)। তিনি বড় শালঘর ইউনিয়নের ছোট শালঘর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী ও
তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। শিক্ষা জীবনে তিনি ছোটশালঘর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করেন। এরপর বড়শালঘর ইউ এম উচ্চ বিদ্যালয়
থেকে ১৯৮৬ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পাস করেন। ঢাকা বিএএফ শাহীন কলেজ
থেকে এইচএসসি পরীক্ষা পাশ করেন এবং ঢাকা কলেজ থেকে বিএসসি শেষ করে উচ্চ
শিক্ষার সুযোগে বেলজিয়াম চলে যান,পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা শেষ করে ওইখানে ই
কর্মজীবন শুরু করে।
রাজনৈতিক জীবন, ১৯৯০ সালে ঢাকা মোহাম্মদপুর থানা ৪৬
নং ওয়ার্ড ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৯০ স্বৈরাচার বিরোধী
ছাত্র আন্দোলনে মোহাম্মদপুর থানায় ছাত্র দলের পক্ষ থেকে কল্যানপুর থেকে
আসাদগেইট এলাকায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পরে
উচ্চ-শিক্ষা লাভের আশায় ১৯৯০ সালের ২৪শে জুন বেলজিয়াম পাড়ি জমান এবং
পরবর্তীতে ওখানে কর্ম জীবন শুরু করেন। ১৯৯১ সালে যুক্ত হন বেলজিয়াম বিএনপির
সদস্য হিসেবে, তাঁরপর ১৯৯৫-২০১৫ পর্যন্ত বেলজিয়াম বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫-২০২২ পর্যন্ত বেলজিয়াম বিএনপির সিনিয়র
সহ-সভাপতি ছিলেন এবং পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির কূটনৈতিক মিসনের
সদস্য ছিলেন। ২০২৩ সালের শুরুতে তিনি বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত
হন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মানবাধিকার সদস্য পদ লাভ করেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালের
মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রিয়
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব
তারেক রহমান এবং বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
পার্লারমেন্টে ২০১৮ শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের
মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পান। ৫ ই আগষ্ট ২০২৪
স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পরে ২০ আগষ্ট জাতীয় সংঘ মানবাধিকার শীর্ষক
অধিবেশনে যোগ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপির হাইকমান্ড
এর নির্দেশে। সাইদুর রহমান সরকার লিটন সাহেব বিএনপির আন্তর্জাতিক একজন
লবিষ্ঠ ও একজন সফল ব্যবসায়ী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্রিন বিলিনিয়ার, একই সাথে
একজন সফল রাজনৈতিক ব্যক্তি। তিনি আগামী নির্বাচনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে কুমিল্লা -৪ দেবিদ্বার) আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন
প্রত্যাশী।