কুমিল্লার
হোমনায় পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে সাধারণ
গ্রাহক হয়রানি স্বীকার হচ্ছে। মিটার রিডিং ছাড়াই বিল সিট প্রস্তুত করা,
ইউনিট বকেয়া রেখে পরের মাসে বকেয়া ইউনিটগুলো যোগ করে গ্রাহককে পরর্বতী ধাপো
বিল পরিশোধে বাধ্য করা, মিটার ক্লোজ করে দেওয়ার পরেও গ্রাহকের নামে বিল
আসা সহ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দিয়ে গ্রাহকদের হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
তা ছাড়া অফিসের ড্রপ তার ক্রয়
করে নতুন মিটার সংযোগ নেবার পর উক্ত টাকা বিদ্যুৎ বিলের সাথে সমন্বয় না
করা, টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে বিদ্যুতের খ্ুঁটিও টানা স্থানান্তর করা ,
আবেদন না করে ডিসি আরসি ফি জমা না দিয়ে মিটার সরানোর মত ঘটনাও ঘটেছে
বিদ্যুৎ অফিসে।
গত ২৯/৫/২০২৫ ইং সালে সুমি আক্তার স্বামী মহিউদ্দিন
গ্রাম- বাগমারা, হোমনা কুমিল্লা নামের এক গ্রাহক বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুতায়ন
বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ
করেছেন, পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কতেক অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে একটি
সিন্ডিকেট বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মো. কাজল মিয়া পিতা মনু মিয়া বাগমারা
হোমনা কুমিল্লা ও ব্যবসায়ি সমিতির লোকজন অবৈধ ভাবে দুই খুঁটি ও দুই টানা
সরিয়ে অভিযোগ কারীনির জায়গার স্থাপন করেন। এতে ভবিষ্যতে তার বাড়িতে ঘর
উঠাতে অনেক অসুবিধা হবে মর্মে জিএম, ডিজিএম বরাবর অভিযোগ করেও কোন
প্রতিকার পাচ্ছে না।
এছাড়া তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন উক্ত
সিন্ডিকেট অফিসকে ম্যানেজ করে বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বাগমারা গ্রামের
আবু কালামের বাড়িতে এইচটি লাইনের খুঁটি সরিয়েছে ও ঘনিয়ারচর গ্রামের মাহবুব
ডাক্তার বাড়ির নিকট একটি টানা সরিয়ে ফেলেছে।ফলে খুটিটি ঝুকিতে রয়েছে। শুধু
তাই নয় অফিসকে পাশকাটিয়ে বৈদ্যারকান্দি ও বাগমারা গ্রামের জালু মিয়ার
বাড়িতে নতুন খুঁটি বসিয়েছে। যার কোন অনুমোদন বা টেকিং সীট নাই।
অভিযোগকারী
সুমী আক্ততার বলেন এ বিষয়ে জিএম ও ডিজিএম বরাবরও লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম
তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রগন করা হয়নি। তাই
পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডে অভিযোগ দিয়েছি।
অনুসন্ধানে জানাগেছে,২০২৪ সাল
থেকে যারা নতুন মিটির সংযোগ পেয়েছেন তারা অনেকেই ড্রপতার কিনতে হয়েছে।
কিন্তু এ টাকা বিদ্যুৎ বিলের সাথে সমন্বয় করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি
হোমনা
পল্লীবিদ্যুৎ জুনাল অফিসের ডিজিএম মৃণাল কান্দি চৌধুরী জানান, আমি নতুন
জয়েন করেছি। বিষয়টি জিএম স্যার অবগত আছেন। ইতোমধ্যে জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার
আলমগীর ও লাইনম্যান শাহীনকে বদলী করা হয়েছে। জুন মাস তো ব্যস্ততা আছে। তবু
তদন্ত হচ্ছে তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।