পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করতে গেল ৩ জুন অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দেশটির অন্যতম বড় শহর সিডনিতে ঈদুল আজহার নামাজ পড়েছেন। পরদিন জাগোনিউজের সঙ্গে মুঠোফোনে ঈদ শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন বিসিবি বস।
বুলবুল জানান, তিনি ঈদের নামাজ পড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ নাভিদ নাওয়াজের সঙ্গে।
বুলবুলের মতো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ নাভিদ নাওয়াজও সিডনিতেই প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। যে কারণেই দুজনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
নাভিদ নাওয়াজ ছাড়াও অনেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। সেখানে এক সময়ের বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ শ্রীলঙ্কান ব্যাটার অতুলা সামারাসিকেরা, ফাস্ট বোলার চাম্পিকা গামাগির (বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক হেড কোচ) সঙ্গেও বুলবুলের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।
জাগোনিউজকে বুলবুল জানিয়েছেন, সামারাসিকেরা এবং গামাগির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় নিয়মিতই যোগাযোগ হয়। মাঝে মধ্যে দেখাও হয়।
এসব সংবাদ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ কাটানো বিসিবি সভাপতি জানালেন ১৫ থেকে ১৬ জুনের মধ্যে দেশে ফেরার কথা। ফিরেই জাতীয় দলের শ্রীলঙ্কা সফরের পাশাপাশি বোর্ডের কার্যক্রমও নতুন করে শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছেন বুলবুল।
বিসিবির কার্যক্রমে একটা স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে স্থির করেছেন বুলবুল। পাশাপাশি জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের যে অধঃপতন, সেটাও স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে আসার জন্য কিছু কার্যকর উদ্যোগ নিতে চান তিনি।
তাছাড়া ২০২৫ হচ্ছে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ২৫ বছর পূর্তির বছর বা ‘রজতজয়ন্তী’। দেশের টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তীর এই বছরকে রঙিন করে রাখতে কিছু কার্যক্রম হাতে নিতে চান বুলবুল।
বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তিতে যাদের অবদান আছে, টেস্টপূর্ব ক্রিকেটে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করেছেন এবং সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন সেসব ক্রিকেটার, প্রশিক্ষক, সংগঠক, পৃষ্ঠপোষক এবং সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করার একটি উদ্যোগ নিতে চান বুলবুল। এটা যদিও এখনও নিজের ইচ্ছা, তবে দেশে ফিরে এ ব্যাপারে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আশা করা যাচ্ছে, দেশের টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তীকে রাঙিয়ে রাখতে বুলবুল ব্রত হয়েছেন। ওই সময়ের ক্রিকেটে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ক্রিকেটে উন্নয়নে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন তাদের সম্মাননা জানানো ও মূল্যায়ন করার একটা উদ্যোগ নিবেন।
উল্লেখ্য, বুলবুল সপরিবারে অস্ট্রেলিয়া অবস্থান করছেন প্রায় ১৫ বছর। তার স্ত্রী সেখানে কর্মরত। আইসিসির উচ্চপদে বুলবুলও তাই অস্ট্রেলিয়াকেই প্রবাসী জীবনের কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন। দুই ছেলে এখনও লেখাপড়া করছেন। পাশাপাশি বড় ছেলে বেশ ভালো ক্রিকেটারও বনে গেছেন। সব মিলিয়ে বিসিবির নতুন কাণ্ডারী আমিনুল ইসলাম বুলবুলের জীবন কাটে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেই।