আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া যাচ্ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর খবর। কুমিল্লাতে রোববার পর্যন্ত এক নারীসহ তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরমধ্যে দুইজন ঢাকার ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও দুইজন কুমিল্লায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের খবরে জেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়ালেও তেমন কোন প্রস্তুতি নেই স্বাস্থ্য বিভাগের। কীট সংকটে ব্যাহত হচ্ছে উপসর্গ নিয়ে আসাদের নমুনা পরীক্ষা। পাশাপাশি আক্রান্তদের চিকিৎসায়ও রয়েছে উদাসীনতার অভিযোগ।
এদিকে দীর্ঘ দিন রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে আরটিপিসিআর ল্যাব ও আইসোলেশন ইউনিটগুলোও প্রায় অকেজো। জনবল সংকটে বন্ধ করোনা রোগীদের জন্য স্থাপিত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতালের আই সি ইউ সেবা। তবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা সনাক্তের কিট পৌঁছাবে বলে জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। দেয়া হচ্ছে চিকিৎসার প্রস্তুতিসহ বন্ধ আইসিইউ সেবা চালুর আশ্বাস।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা সনাক্তের কীট নেই কুমিল্লায়। কীট সংকটে লক্ষণ ও উপসর্গ ফিরছেন মানুষ। রবিবারের মধ্যে কীট আসার কথা থাকলেও সেটিও অনিশ্চিত। করোনা পরীক্ষার অধিকাংশ আরটিপিসিআর ল্যাবে অচল। অকেজো হয়ে পড়েছে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত আইসোলেশন ইউনিটগুলো। করোনা রোগীদের জন্য স্থাপিত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতালের আই সি ইউ সেবা বন্ধ রয়েছে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে। তাই করোনা চিকিৎসা ও শনাক্তে দুশ্চিন্তায় মানুষ।
করোনা উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আসা মনির হোসেন বলেন, করোনার লক্ষণ রয়েছে শরীরে। পরীক্ষা করতে পারলে নিশ্চিত হতে পারতাম। কিন্তু পরীক্ষার কীট না থাকায় এখন একটি দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।
এদিকে কুমিল্লায় করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লেও কীট সংকটে রবিবার নতুন কোন ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় এক নারীসহ চারজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
কীট সংকটের বিষয়ে কুমিল্রা জেলা সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ জানান, পুরনো কীট গুলো নষ্ট হয়েছে। নতুন কীটের জন্য আবেদন করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে রবিবারের মধ্যে কীট এসে পৌছার কথা ছিল। করোনা প্রতিরোধে প্রস্তুতি কেমন জানাতে চাইলে তিনি জানান, প্রকোপ ভাড়ছে। তবে চিকিৎসার জন্য পুরনো আইসোলেশন ইউনিটগুলো প্রস্তুত করা হবে। একই সঙ্গে বন্ধ আইসিইউ পুণরায় চালুরও পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে ঝুকি এড়াতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য পরামর্শ উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দিলেই তা যাতে করে আইসোলেশন থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নেয়। একই সঙ্গে মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার করেন । যাতে করে অন্য ব্যক্তি আক্রিান্ত না হোন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জেলায় ৭২ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। ষাটোর্ধ্ব ও অন্তসত্তাদের দেয়া হবে এই ভ্যাকসিন।