দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে ফুটবল ফেডারেশনের ফিফার সদস্যপদ লাভের শতবর্ষ পূতি উদযাপনের উপলক্ষ্যে ১৫ মে ফিফার ৭৫ তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে প্যারাগুয়েতে। এতে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করার কথা বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার ও নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণের। গতকাল ভোররাত চারটার সময় প্যারাগুয়ের ফ্লাইট ছিল তাদের। ফেডারেশন সূত্রের খবর, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্যারাগুয়ের ফ্লাইট ধরলেও বিমানবন্দর থেকে ফেরত এসেছেন মাহফুজা আক্তার কিরণ।
আজ দুপুর থেকে কিরণের বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসার খবর ফুটবলাঙ্গনে চাউর হয়। এ নিয়ে বাফুফে কর্তাদের মুখে কুলুপ। কেউ এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে চান না। মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবুকে ফোন করে সাড়া পাওয়া যায়নি। প্রতিনিয়ত ফুটবল ফেডারেশনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে আসা অলিখিত মুখপাত্র সহ-সভাপতি ফাহাদ করিমও সুকৌশলে আজ এড়িয়ে গেছেন।
কমিটির একাধিক কর্মকর্তা অবশ্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তারা জানতে পেরেছেন মাহফুজা আক্তার কিরণ প্যারাগুয়ে যেতে পারেননি, বিমানবন্দর থেকে তিনি বাসায় ফিরে গেছেন। কি কারণে যেতে পারেননি এই বিষয়ে অন্য সবার মতো তারাও ধোয়াশায় রয়েছেন। কিরণের মুঠোফোন, হোয়াটসঅ্যাপ সকল মাধ্যমে এই বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে তিনিও কোনো সাড়া দেননি।
বাফুফের নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ ফিফা কাউন্সিল সদস্যও ছিলেন। এখন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্যও আছেন। সম্প্রতি তিনি মালয়েশিয়ায় এএফসি ও শ্রীলঙ্কায় সাফের কংগ্রেসে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। প্যারাগুয়ের ফিফার সভায় কেন যেত পারলেন না এ নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে রহস্যের জন্ম হয়েছে।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। সেই ফিফায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব কারা করছেন এটা জানার অধিকার গণমাধ্যমের রয়েছে। সেটা বিগত সময়ের মতো তাবিথ আউয়ালের কমিটিও সফরের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে অবগত করেনি। একজন কর্মকর্তা যে কোনো কারণে বিমান বন্দর থেকে ফেরত আসতেই পারেন সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো সেই কর্মকর্তার কিংবা ফেডারেশনের পেশাদারিত্বের মধ্যেই পড়ে। কারণ তিনি কোনো ব্যক্তিগত সফর নয়, ফেডারেশনের দায়িত্ব পালন ও ফেডারেশনের প্রতিনিধিত্ব করতেই সফর করেন। তাবিথ আউয়াল-ফাহাদ করিমরা আধুনিকতা ও পেশাদারিত্বের বুলি আওড়ালে বাস্তবে এর প্রমাণ মেলে না।
ফিফা-এএফসির কংগ্রেসে বাফুফের কারা অংশগ্রহণ করবেন এটা নির্বাহী কমিটির অনেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানেন না। এসব সভায় প্রতিনিধি মনোনয়ন নিয়েও নির্বাহী কমিটির মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। বাফুফের সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের আমলে কিরণ ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী। নতুন কমিটিতেও কিরণের প্রাধান্য নিয়ে ফেডারেশনের অনেকের ক্ষোভ রয়েছে।