মানসিক
স্বাস্থ্য এবং বিষন্নতা কাটিয়ে উঠার উপর সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
হয়েছে। কুমিল্লার নীলাভ্র ফাউন্ডেশন ওই কর্মশালার আয়োজন করেন।
৮ মে
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের
একাডেমিক ভবনের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মনরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সাঈদুস
সাকালান।
প্রধান অতিথি ছিলেন, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. মো:
তারিকুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.কিউ.এ.সি এর
পরিচালক অধ্যাপক মো: মনিরুজ্জামান। নীলাভ্র ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও
সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের লিবারেল আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. আলী
হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইংরেজী বিভাগের চেয়ারম্যান
মনির হোসেন। আরো বক্তব্য রাখেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক সোহাগ,
ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক মো: নুরুল আমিন, নীলাভ্র ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী
মুক্তি সাহা প্রমুখ।
রিসোর্স পার্সন ডা. সাঈদুস সাকালান বলেন, সারা
বিশ্বে ডিপ্রেশন বা মানসিক বিষন্নতার রোগী বাড়ছে। তাদের মধ্যে ২৫ বছরের কম
বয়সীদের বিষন্নতা বেশী এবং সিদ্ধান্তহীনতায় তারা বেশী ভোগেন। মানসিক
অস্থিরতা ও বিষন্নতা কমাতে প্রতিদিন ব্যায়াম করা খুব প্রয়োজন। নিয়ম করে
ঘুমাতে পারলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মানসিক সমস্যা বাড়ছে মনে হলে
দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা শিক্ষার্থীদের
উদ্দেশ্যে বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বিষয়ে সমাজে গুরুত্বের অভাব
রয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়, বাংলাদেশে সেটা এখনো
সম্ভব হয়ে উঠেনি বিভিন্ন উদ্যোগ ও সচেতনতার অভাবে। এক্ষেত্রে নিজেদের
সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবার-সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য
করনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে। মানসিক চাপ ও বিষন্নতা
নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর্থিক সংকটসহ সব ধরনের
প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে
হবে। যত দু:খ কষ্টই আসুক মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হবে, আনন্দ নিয়ে বাঁচতে
শিখতে হবে। আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়। প্রয়োজনে পরিবার-পরিজনকে সমস্যাগুলো
খুলে বলতে হবে, নিজের মধ্যে চেপে না রেখে আলোচনা করতে হবে। এভাবেও বিষন্নতা
কমানো যায়। কর্মশালার শেষভাগে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রশ্নের
উপর ভিত্তি করে আলোচনা ও পরামর্শ দেন চিকিৎসক।