বাংলাভাষা
ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম
জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখের এই দিনে (৮ মে) জোড়াসাঁকোর ঠাকুর
পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন
রবীন্দ্রনাথ। তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে তার
গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির
গান-কবিতা, বাণী এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে
প্রভূত সাহস যোগায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শুধু নয়,
চিরকালই কবির রচনাগুলো প্রাণের সঞ্চার করে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ
নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করবেন তার অগণিত ভক্তরা। শুধু দুই
বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষী কবির
জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করবে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও শ্রদ্ধায়।
এদিকে
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে আজ
থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির
উদ্যোগে এবছর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের
প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’। সকলের জন্য
উন্মুক্ত অনুষ্ঠান আগামী ২৫, ২৬, ২৭ বৈশাখ (৮, ৯, ১০ মে) কুষ্টিয়ার
শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে আয়োজন করা হয়েছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের
আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এবং কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের
ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানের
উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এতে সভাপতিত্ব
করবেন সংস্কৃতি সচিব মো. মফিদুর রহমান।
স্বাগত বক্তৃতা করবেন সংস্কৃতি
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিক এবং স্মারক বক্তৃতা
করবেন অধ্যাপক মনসুর মুসা। বিশেষ অতিথি থাকবেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ, কুষ্টিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর ড. নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান।