প্রতিনিয়ত
অস্থিরতা বেড়েই চলেছে দুই প্রতিবেশি দেশ ভারত ও পাকিস্তানে। উভয়পক্ষের
হামলা-পাল্টা হামলাকে কেন্দ্র করে তাদের ক্রীড়াঙ্গনেও উত্তেজনা ছড়িয়ে
পড়েছে। চলমান আইপিএলের দুটি ভেন্যুতে পরপর দু’দিন বোমা হামলার হুমকি এসেছে
অজ্ঞাত মেইল থেকে। যা নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে কলকাতা ও জয়পুরের আইন-শৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী।
গতকাল (বুধবার) প্রথম এই হামলার হুমকি আসে কলকাতার
ইডেন গার্ডেন্সে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) অফিসিয়াল
ই-মেইলে পাঠানো বার্তায় আইপিএলের ম্যাচ চলাকালে মাঠে বোমা হামলা করার ঘোষণা
দেওয়া হয়। যদিও অনেকটা নির্বিঘ্নভাবেই ইডেনে কাল চেন্নাই সুপার কিংস ও
স্বাগতিক কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরপর আজ
(বৃহস্পতিবার) আরেকটি বার্তায় হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে রাজস্থানের জয়পুরে।
যদিও সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে এদিন কোনো ম্যাচ নেই। তবে হামলার হুমকি
পেয়েই স্টেডিয়াম এলাকায় তল্লাশি চালানোর কথা জানিয়েছে রাজ্যের ক্রিকেট
সংস্থা। কর্মকর্তাদের দাবি– এই মুহূর্তে স্টেডিয়ামে রয়েছে ডগ স্কোয়াড, বম্ব
স্কোয়াড এবং জঙ্গিদমন দল। স্টেডিয়ামের প্রতিটি কোণায় তল্লাশি চালানো
হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সকাল ৯.১৩ মিনিটে ই-মেইলে হুমকি পাঠানো হয়েছে।
সেখানে লেখা ছিল, ‘অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য উদ্যাপন করতে আমরা আপনাদের
স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণ ঘটাব। পারলে সবাইকে বাঁচিয়ে দেখান।’ অতিরিক্ত পুলিশ
কমিশনার কুনওয়ার রাষ্ট্রদীপ বলছেন, ‘স্টেডিয়ামের প্রতিটি কোণায় অনুসন্ধান
চালিয়ে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।’ যে মেইল থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে তার
পরিচায় ও স্থান শনাক্তের জন্য পুলিশের সাইবার উইং কাজ করছে বলে জানান তিনি।
এই
দুটি মেইল এমন সময়ে এসেছে, যখন অপারেশন সিঁদুর নামে পাকিস্তানের অন্তত ৯টি
এলাকায় মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তান অধ্যুষিত আজাদ-কাশ্মিরের ওই
হামলায় প্রথম দিনেই ২৬ জন নিহতের কথা জানায় দেশটি। পরবর্তীতে সেই সংখ্যা
আরও বেড়েছে। তবে ভারতের দাবি– শতাধিক মানুষ মারা গেছে তাদের হামলায়। এরপর
সীমান্তে পাকিস্তানি সৈন্যদের সঙ্গে গোলাগুলিতে অন্তত ১০ ভারতীয়’র মৃত্যু
হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, হামলার জন্য নিশানায় থাকা সম্ভাব্য ভেন্যু
এলাকা হিমাচল থেকে আইপিএলের একটি ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী
১১ মে পাঞ্জাব কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যকার ম্যাচ রয়েছে হিমাচল
প্রদেশের ধর্মশালায়। যা আহমেদাবাদে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, গতকাল
পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ড্রোন হামলা চালানোর পর চলমান পিএসএল নিয়ে তৈরি
হয়েছে অনিশ্চয়তা। আসরের বাকি ম্যাচগুলো দুবাই কিংবা দোহায় সরিয়ে নেওয়া হবে
কিনা সেই আলোচনাও চলছে।