তৃতীয়
বারের মতো মঞ্চায়িত হলো অধুনা থিয়েটারের প্রযোজনায়, সায়িক সিদ্দিকীর রচনা ও
নাট্যরুপে, ময়মনসিংহ গীতিকার দেওয়ানা মদিনার ছায়া অবলম্বনে
পালানাট্য,জয়তুন বিবি'র পালা। বুধবার (৭ মে) কান্দিরপাড় বি.বি.সমতট
কমপ্লেক্সে ডেলটা লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানির বৈশাখী উৎসব ১৪৩২ উপলক্ষে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে পালানাটক পরিবেশিত হয়। মুহুর্মুহু করতালির মাধ্যমে
দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা যায়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন
অধুনা থিয়েটারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরী সুমন। নাটক শেষে
নাট্যকর্মী কৃষ্ণ রয় তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, পালানাট্য
আমাদের শেকড়ের সংস্কৃতি। এই প্রজন্মের একজন হিসেবে আমি আপ্লুত যে আমি অধুনা
থিয়েটারের হয়ে পালায় কাজ করতে পারছি। নিসন্দেহে এটি আমার জন্য আনন্দের।
পালানাট্য পরিবেশনায় আরও ছিলেন, ইব্রাহীম দূরদেশী, তানিম আহমেদ, তুষার আহমেদ, সোহেল চিশতী, মহিবুল্লাহ হাসান এবং মহিদুল ইসলাম লিমন।
তরুণ পালাকার অধুনা থিয়েটারের নাট্যকর্মী তানিম আহমেদ বলেন, পালাগান কাহিনীমূলক লোকগীতি।
পালাগানের শিল্পী হিসাবে গৌরববোধ করছি। কুমিল্লাবাসীকে এ গান উপহার দেবো। এ কাজে একটি টিম হলে আরো ভালো করবো আশা করি।
অধুনা
থিয়েটারের স্বপ্নদ্রষ্টা এড. শহিদুল হক স্বপন বলেন, পালাগান প্রধানত
পৌরাণিক ও লৌকিক আখ্যানভাগ নিয়ে রচিত। পালাগানের উৎসভূমি ময়মনসিংহ। এ সময়ে
বৃহত্তর কুমিল্লার একমাত্র পালাকার তামিম। সে অধুনা থিয়েটারের একজন সদস্য।
অধুনা পরিবার সব সময় নতুনত্ব নিয়ে কাজ করে।
প্রসঙ্গত, গাইবান্ধার
দারিয়াপুর,হাটখোলা মাতিয়ে ফিরলেন কুমিল্লার অধুনা থিয়েটার। গত ২৪ তারিখ
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের অঙ্গ সংগঠন গাইবান্ধার সারথি থিয়েটারের উদ্যোগে
অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো মনু গীদাল পালানাট্য উৎসব।