শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫
১৩ বৈশাখ ১৪৩২
মাদকের ভয়াবহ বিস্তার
প্রকাশ: শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৯ এএম |


মাদকের ভয়াবহ বিস্তারশহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত সর্বত্রই মাদকের ছোবল ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তরুণরা তো বটেই, কিশোর-কিশোরীরাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এর প্রধান কারণ মাদকের সহজলভ্যতা। হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়।
অন্যদিকে মাদকের অর্থ সংগ্রহের জন্য মাদকাসক্তরা নানা অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মাদকের বিস্তার ও অপরাধ ঊর্ধ্বগামী হওয়ার এক ভয়ংকর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর শিথিলতার সুযোগ নিয়ে মাদক কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রকাশ্যেই চলে কেনাবেচা।
তাই মাদকাসক্তের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েক মাসে মাদকসেবীর সংখ্যা অন্তত ২০ লাখ বেড়েছে। সেই সঙ্গে মাদক কারবারে অর্থপাচারও বাড়ছে।
মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) তথ্য মতে, দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়ে এখন দেড় কোটির কাছাকাছি।
সংস্থাটির প্রধান ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের গবেষণা বলছে, করোনার সময় থেকে মাদকসেবীর সংখ্যা বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। গত কয়েক মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর শিথিলতার কারণে ২০ লাখের মতো মাদকসেবী বেড়েছে। আমরা বলছি, দেশে বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি মাদকসেবী রয়েছে।’ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী, দেশে সামাজিক অবক্ষয় এবং বহু রকম অপরাধের পেছনে অন্যতম অনুঘটকের কাজ করছে মাদকাসক্তি। তাদের মতে, মাদকাসক্তদের প্রায় ৯০ শতাংশই কিশোর-তরুণ।
মাদক ব্যবসার গডফাদাররা খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজিতে এই কিশোর-তরুণদের ব্যবহার করে। ২০২৩ সালের জুনে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আংকটাড (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, প্রতিবছর শুধু মাদকের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বর্তমান বিনিময় মূল্যে পাঁচ হাজার ৮৪১ কোটি টাকারও বেশি) পাচার হয়ে যায়। মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অর্থপাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম এবং এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, সারা দেশে অনেক জায়গায়ই নিয়মিত মাদকের হাট বসে। রাজধানীতেও বেশ কিছু স্পটে মাদক বিক্রি হয়। অভিযোগ আছে, পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবৈধ যোগসাজশেই সেগুলো পরিচালিত হয়। কথিত ‘সোর্সের’ মাধ্যমে বিরাট অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অবৈধ যোগসাজশের কারণেই মাদকের কারবার বিস্তার লাভ করছে। আরেকটি বড় কারণ সীমান্ত পেরিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক আসা রোধ করতে না পারা। পাশাপাশি মাদক মামলার বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, তদন্তের দুর্বলতা, জামিন পেয়ে কারবারিদের পুনরায় কারবারে নামা মাদকের বিস্তারে ভূমিকা রাখছে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর ও সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। গডফাদারসহ ছোট-বড় সব কারবারিকে আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদকসেবীদের চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। বিচারকাজের দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে হবে।















সর্বশেষ সংবাদ
কুমিল্লা শহরজুড়ে অস্ত্র হাতে কিশোর গ্যাং গ্রুপের মহড়া
সরকার এনসিপি’কে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে মূল্যায়ন করছে
সন্তানের ব্যাগ কাঁধে বাবাদের অপেক্ষা
জব্বারের বলী খেলায় এবারও ‘বাঘা শরীফের’ বাজিমাত
লালমাইয়ে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ইমাম গ্রেফতার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
জব্বারের বলীখেলায় ফের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা শরীফ’
গ্রেপ্তারের ২ মাস পর বরখাস্ত হলেন কুমিল্লার সাবেক এএসপি তানভীর
স্বামীই বালিশ চাপায় হত্যা করে স্ত্রীকে!
লালমাইয়ে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ইমাম গ্রেফতার
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ মানুষ
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২