কুমিল্লার
জনপ্রিয় নৃত্যশালা 'অভয়চরণ নৃত্যাঙ্গন' এর উদ্যোগে দিনব্যাপী আনন্দ আয়োজন ও
সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দিনব্যাপী নগরীর
ঢুলিপাড়া ফানটাউন মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিন সকাল ১০
টায় র্যালির মাধ্যমে দিনব্যাপী আনন্দ আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়। পরে উপস্থিত
শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় 'ছন্দের বন্যা' শিরোনামে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। এসময়
অনুষ্ঠানটি নৃত্যের তালে তালে মুখরিত হয়ে ওঠে।
এ আয়োজনে অভয়চরণ
নৃত্যাঙ্গনের ক্ষুদে শিল্পী ও নৃত্য শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে
দর্শকদের মন জয় করেন। দেশীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় রূপ তুলে ধরতে এই আয়োজন
ছিল বিশেষভাবে সাজানো। ফানটাউনের মিলনায়তন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। নৃত্য
উপভোগ শেষে দর্শকদের করতালিতে বারবার মুখরিত হয় অনুষ্ঠানের পরিবেশ।
এসময়
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির (নির্বাচিত) সাবেক সাধারণ
সম্পাদক ড. শাহ মোঃ সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লোক
সাংস্কৃতিক সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মিনা মোহাম্মদ নজরুল। এসময় অভয়চরণ
নৃত্যাঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি পপি সূত্রধরের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে
আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ফান টাউনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
ইফতেখার হোসেন রুবেল, চলচ্চিত্রকার ইমদাফুল হক খোকন, বাংলাদেশ লোক সংস্কৃতি
সংসদের সহ-সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন খান, কুমিল্লা মহিলা কলেজের অধ্যাপক ড.
জে এন লিলি, অভয়চরণ নিত্যাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কৃষ্ণ দাস, কুমিল্লা
প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহার রায়হান। অতিথিরা অভয়চরণ
নৃত্যাঙ্গনের এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের আয়োজন আমাদের
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশে একদিন
নৃত্যাঙ্গন হবে। সংস্কৃতির চর্চা না থাকলে আমাদের মানবিকবোধ জাগ্রত হবে না।
এছাড়াও, সংস্কৃতির চর্চা একটি জাতির বিপ্লবেও কাজে লাগে। জাতির পুনর্গঠনে
অবদান রাখতে পারে। তাই আমাদেরকে সাংস্কৃতিক চর্চা চালিয়ে যেতে হবে।''
এর
আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান
প্রদান করা হয়। এছাড়াও, অনুষ্ঠানের শেষে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী ও
বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
অভয়চরণ নৃত্যাঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা ও
সভাপতি পপি সূত্রধর বলেন, “সংস্কৃতি আমাদের শিকড়। সেই শিকড় ধরে রাখতেই আমরা
নিয়মিত এমন আয়োজন করে থাকি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট
করাই আমাদের লক্ষ্য।”
এসময় অনুষ্ঠানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মাইক্রো
বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ পিংকি সাহা'র সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক
অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাই এই
সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজনের
প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।