কুমিল্লার
লাকসামে দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হাসিনা
আক্তার বৃষ্টি (২৭) উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের সরওয়ার
কাইয়ুমের স্ত্রী।
রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে লাকসাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল
থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে
বৃষ্টির স্বামী সরোয়ার কাইয়ুম পলাতক রয়েছে। সরওয়ার কাইয়ুম মনোহরপুরের
সফিউল্লাহর ছেলে।
বৃষ্টির ভগ্নিপতি আজহার উদ্দিন সুজন জানান, শনিবার
দিবাগত রাত পৌনে চারটায় বৃষ্টির অসুস্থতার কথা বলে তার স্বামী সরোয়ার
কাইয়ুম আমাকে ফোন দেন। আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে বৃষ্টিকে খোঁজাখুঁজি করলে
তারা আমাকে শান্ত হতে বলেন। এ পর্যায়ে বৃষ্টি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
করেছে বলে আমাকে জানায়। বিষয়টি সন্দেহ হলে আমি থানায় খবর দেই। আমাদের ধারণা
বৃষ্টিকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে তার স্বামী সরোয়ার কাইয়ুম।
পরিবার
সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে হাসিনা আক্তার বৃষ্টির সাথে সরোয়ার
কাইয়ুমের বিয়ে হয়। বৃষ্টি উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সাতঘর ইছাপুর
গ্রামের জাফর আহমেদের মেয়ে। তাদের সংসারে দিপু (৪) ও নূর (১) নামে দুই
কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্বজনরা জানায়, বৃষ্টির স্বামী সরোয়ার কাইয়ুম মাছের
ব্যবসা করে। রাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার জের ধরে স্বামীর
বসতঘরে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়; না তাকে হত্যা করা হয়েছে- এ নিয়ে সন্দেহের
তীর স্বামীর দিকে ছুঁড়ছেন তারা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন
সুলতানা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে
দেখা হচ্ছে। স্বামী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।