গত
১৬ জুন (মঙ্গলবার) বিভিন্ন পত্রিকা, স্যাটেলাইট চ্যানেল ও অনলাইন মাধ্যমে
‘চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগে সাবেক এমপির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ’
শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদে আমাদেরকে জড়িয়ে যেভাবে
মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র
নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রকাশিত অভিযোগটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক,
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো
একটি সংবেদনশীল এবং ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের
ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের ও সংবাদ প্রকাশ এক গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়।
উল্লেখযোগ্য
যে, কিবরিয়া নামক ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের কোনোকালেই ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক
বিরোধ ছিল না। বরং তার পরিবারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং তার চাচাতোভাইদের
সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাই ছিল মূল বিষয়, যা নিয়ে দুইটি পৃথক মামলা দায়ের হয়:
মামলা নং ১৬২/১৬ (বাদী: কিবরিয়ার কিবরিয়ার মা সালেহা বেগম এবং মামলা নং
১৩৭/১৬ বাদী কিবরিয়ার চাচা আবদু জব্বার) ।
এই মামলাগুলো দীর্ঘ সাত বছর
আদালতে বিচারাধীন থাকার পর, উভয় পক্ষের সম্মতিতে আপোষ-মীমাংসার মাধ্যমে
নিষ্পত্তি হয়। এমনকি আদালতের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা হয়। পরে কিবরিয়াকে মোট ৯
লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয় (৬,৫০,০০০ টাকা ব্যাংক চেকে এবং
২,৫০,০০০ টাকা নগদ)। উক্ত ঘটনার কোথাও আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, আমরা
অভিযুক্ত নই এবং আমাদের বিরুদ্ধে কখনো কোনো অভিযোগও উত্থাপিত হয়নি।
২০১৬
সালে সাবেক এমপি এম এ জাহের সাহেব কোনো রাজনৈতিক পদে আধষ্ঠিত ছিলেন না এবং
জনপ্রতিনিধিও ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে "ক্ষমতার অপব্যবহার" সংক্রান্ত যেসব
অভিযোগ কিবরিয়া তার বক্তব্যে এনেছেন, তা পুরোপুরি অসত্য ও প্ররোচনামূলক।
আমরা
বিস্মিত ও ব্যথিত-একটি পারিবারিক ঘটনার বাস্তবতা আড়াল করে কী উদ্দেশ্যে
এবং কার পরামর্শে কিবরিয়া আমাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে
অভিযোগ দায়ের করলো। এই ধরনের আচরণ একদিকে যেমন আইনের অপব্যবহার, অন্যদিকে
তেমনি গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা।
সর্বোপরি,
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা অভিযোগ, কিবরিয়ার মিথ্যা ও
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য, এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভ্রান্ত সংবাদের
বিরুদ্ধে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
কাছে দাবি জানাই-এই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এইরূপ ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে ব্যক্তি ও
প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি ঘটাতে না পারে।