মোঃ হুমায়ুন কবির মানিক ।।
কুমিল্লার
লাকসামে এক কৃষককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামে এক প্রবাসীকে
জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে
কুমিল্লা আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
জমি নিয়ে
বিরোধের জের ধরে ঐ কৃষক ও তার পুত্রবধূকে কুপিয়ে আহত করে রফিক ও তার
পরিবারের সদস্যরা। উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ষোলাপুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা
ঘটে। এ ঘটনায় আহতের ছেলে মোঃ ফারুক লাকসাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ
ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, একটি জমি নিয়ে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও
কৃষক রফিক মিয়া (৬৫) উভয়ে আদালতে মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে প্রায়ই রফিকুল
ইসলাম, তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা কৃষক রফিক মিয়ার পরিবারের সদস্যদের
গালাগালসহ প্রাণনাশের হুমকি দিত। গত বুধবার (১৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে মাঠ
থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কৃষক রফিক মিয়া। তাকে একা পেয়ে রফিকুল ইসলাম, তার
স্ত্রী মিনারা আক্তার ও ৩ মেয়ে পপি আক্তার, ফারজানা আক্তার, ফারিয়া অতর্কিত
হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রফিক মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ
সময় তার শোর চিৎকারে পুত্রবধূ সুমাইয়া আক্তার (২০) এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে
আহত করে। এ সময় কৃষকের স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৫০) পানিতে ডুবিয়ে হত্যা
চেষ্টা করে। কৃষককে রক্ষায় তার অশিতিপর মা রজ্জবের নেছা (৮৫) এগিয়ে এলে
তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। তাদের পরনে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়।
অস্ত্রোপচার
শেষে কৃষক রফিক মিয়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার, জাহানারা বেগম ও রফিক মিয়ার অশিতিপর বৃদ্ধা মা
রজ্জবের নেছা লাকসাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত
রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দিলে তার স্ত্রী (অপর অভিযুক্ত) মিনারা আক্তার
কল রিসিভ করে বলেন, আমাদেরকেও তারা মেরেছে।
এলাকাবাসী আরো জানায়,
প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও তার মেয়ের জামাই যুবলীগ নেতা মুন্না বিগত আ'লীগের
আমলে এলাকায় বহু লোককে মারধর ও বাড়িঘর ভাংচুর করেছে।
এ বিষয়ে লাকসাম
থানার ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, কৃষক রফিক মিয়ার ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা
করেছেন। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে
পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতার করা হবে।